ভার্চুয়াল আড্ডায় মারিয়ার সাথে শচীনের বাংলায় শুভেচ্ছা বিনিময়

|

কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারের সাথে ভার্চুয়াল আড্ডায় মেতেছিলেন বাংলাদেশের নারী ফুটবলার মারিয়া মান্ডা। ইউনিসেফের আয়োজনে এই আড্ডায় অংশ নেন তিনি। সেই সময় মারিয়ার সাথে বাংলায় শুভেচ্ছা বিনিময় করেন শচীন। জানতে চান করোনার সময় নিজেদের ফিট থাকার রহস্য। যেকোনো প্রয়োজনে পরামর্শ দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন সাবেক এই মাস্টার ব্লাস্টার।

ইউনিসেফের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে শচীন টেন্ডুলকার কাজ করছেন প্রায় ২০ বছর ধরে। বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড কিংবা কর্মশালা সবখানেই সরব উপস্থিতি রয়েছে ক্রিকেটের এই বরপুত্রের। কখনো স্বশরীরে আবার কখনো ভার্চুয়ালে এসে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটার।

ভারতের এই ক্রিকেট কিংবদন্তির খেলা কখনো মাঠে বসে দেখার সুযোগ হয়নি মারিয়া মান্ডার। তবে এবার অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ককে সরাসরি ভার্চুয়াল আড্ডার সুযোগ করে দিলো ইউনিসেফ। সেই সাথে মারিয়ার সঙ্গী ছিলেন ভারতীয় ফুটবলার অংশু কেশাপ। শচীনের সাথে বাংলায় কথা বলার সময় বেশ উচ্ছ্বসিত দেখায় মারিয়া মান্ডাকে। শচীনের কাছ থেকে ‘চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়’র স্বীকৃতিও পান মারিয়া।

করোনার সময় ক্যাম্প বন্ধ করে ফুটবলারদের বাড়ি পাঠিয়ে দেয় বাফুফে। সেই কঠিন সময়ের ভেতর নিজের ফিট থাকার রহস্য টেন্ডুলকারকে জানান মারিয়া। বাংলাদেশের এই ফুটবলার বলেন, শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য ফেডারেশন থেকে অনুশীলনের সূচি আমাদের দেয়া হয়। সেই সূচি অনুযায়ী আমরা অনুশীলন করি। এছাড়া সপ্তাহে একদিন কোচিং স্টাফের সাথে জুম মিটিং করি।

ফিটনেস ধরে রাখতে বিভিন্ন টিপস দেন টেন্ডুলকার। সেই সাথে সুস্থ থাকার তাগিদ দেন এই কিংবদন্তি। শচীন টেন্ডুলকার বলেন, শরীরের ভারসাম্য ঠিক রাখতে খাদ্যাভ্যাসের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তোমরা যা ইচ্ছা তাই খেতে পারো, কিন্তু যখন ইচ্ছা করবে তখনই খাওয়া যাবে না। তোমাদের স্বাস্থ্য যদি ভালো না থাকে, তাহলে কোনোকিছু করেই সুখী হতে পারবে না।

বিদায় নেয়ার আগে মারিয়া ও অংশু দুজনকেই শুভকামনা জানান টেন্ডুলকার। ভবিষ্যতে যেকোনো প্রয়োজনে পরামর্শ দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

আরও পড়ুন: অবশেষে বাতিল ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মধ্যকার স্থগিত ম্যাচ

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply