জেন্ডার অসমতায় ভুগছে যুক্তরাষ্ট্রের সামুদ্রিক কচ্ছপ

|

চার বছর ধরে ফ্লোরিডার সমুদ্র সৈকতে জন্ম নেয়া কচ্ছপগুলোর ৯৯ শতাংশের বেশিই মেয়ে। ফলে জেন্ডার অসমতায় ভুগছে যুক্তরাষ্ট্রের সামুদ্রিক কচ্ছপগুলো। এর জন্য বৈশ্বিক উষ্ণতাকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে কয়েক বছর ধরেই রেকর্ড গড়ছে ফ্লোরিডার তাপমাত্রা। তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে ডিম থেকে জন্ম নেয়া প্রাণীটি ছেলে হবে নাকি মেয়ে।

ফ্লোরিডায় এখন কচ্ছপের বংশবিস্তারের মৌসুম। আর প্রাণীটির প্রজননে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে তাপমাত্রার। সমুদ্রতীরে বালির মধ্যে এক ধরনের ঘর বানিয়ে ডিম পাড়ে কচ্ছপ। উষ্ণতা বেশি হলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বালির ঘর। আর তার প্রভাব পড়ে কচ্ছপের লিঙ্গে। ন্যাশনাল ওশেনোগ্রাফিক অ্যাটমস্ফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, এনওএএর তথ্য, ২৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ভেতর তাপমাত্রা হলে কচ্ছপের ডিম থেকে জন্ম নেয় ছেলে বাচ্চা। আর ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে জন্মায় মেয়ে।

টার্টেল হসপিটালের ম্যানেজার বেটা জিরকেলবাখ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ভীষণভাবে প্রভাব ফেলছে সামুদ্রিক কচ্ছপের ওপর। মূলত তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে কচ্ছপের লিঙ্গ। ভয়াবহ তথ্য হলো, গত চার গ্রীষ্ম ধরে ফ্লোরিডার তাপমাত্রা রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কোনো নবজাতক ছেলে কচ্ছপই পাননি গবেষকরা।

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অতিরিক্ত গরমের প্রভাব পড়েছে কচ্ছপের প্রজননে। গত চার বছর ধরে উচ্চ তাপমাত্রার কারণে সেখানে প্রায় সব ডিম থেকেই জন্ম নেয় মেয়ে বাচ্চা। তাই প্রাণীটির অস্তিত্ব নিয়েই তৈরি হয়েছে সংকট। টার্টেল হসপিটালের ম্যানেজার বলেন, গত ৩০/৪০ বছরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে সামুদ্রিক কচ্ছপের মেয়ে আর ছেলের হার ৬ অনুপাত ১। গত ১০ বছরে সংখ্যাটা বেড়েছে। জেনেটিক বৈচিত্র্য না থাকলে ভবিষ্যতে প্রাণীটির অস্তিত্ব বিপন্ন হবে বলেও মন্তব্য করেন এই কচ্ছপ বিশেষজ্ঞ।

অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র সৈকতেও এখন এমন চিত্র। অতিরিক্ত গরমের কারণে দেশটির সৈকতে জন্ম নেয়া ৯৯ শতাংশ কচ্ছপই মেয়ে।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply