ভবিষ্যৎ খাদ্য ঝুঁকি এড়াতে যে পরামর্শ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা

|

মজুদ থাকলেও চাল ও গম নিয়ে ভবিষ্যৎ খাদ্য ঝুঁকি আছে। তাই এখনই রফতানিকারকদের সাথে চুক্তির পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের। খাদ্য সচিব বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারত থেকে গম আমদানির সংকট এখনও কাটেনি। তাই বিকল্প পথেও আমদানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর চাল আমদানিতে এলসির সময়সীমা এক মাস বৃদ্ধি ও সরকারি দরপত্র আহ্বানের তথ্য জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। তাই খাদ্যশস্য নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ খাদ্য সচিবের।

দেশের প্রধান খাদ্যশস্য চাল ও গম। প্রতি বছরে চালের চাহিদা ৩ কোটি ৭০ লাখ টন। আর গমের চাহিদা ৭৫ লাখ টন। কিন্তু খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী বর্তমানে চাল ও গমের মজুদ আছে ১৮ লাখ ৩১ হাজার টন। চালের এই মজুদকে পর্যাপ্ত বলছেন খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন।

কিন্তু জ্বালানি খরচ, ডলারের দাম বৃদ্ধি ও নিষেধাজ্ঞার কারণে গম আমদানিতে সংকট আছে। খাদ্য সচিব জানালেন, ভারতের নিষেধাজ্ঞায় আগের চুক্তির প্রায় ১ লাখ টন গম এখনও আসেনি। নতুন আমদানিতেও তিন মাস ধরে চলছে অচলাবস্থা। বিকল্প হিসেবে বুলগেরিয়া থেকে ১ লাখ টন গম আসছে এ মাসে। আর রাশিয়া থেকেও আসবে ৩ লাখ টন। অন্যদিকে বৃষ্টি কম হওয়ায় আমনের কাঙ্খিত উৎপাদন নিয়ে চিন্তিত সরকার। যদিও চাল আমদানির জন্য এরই মধ্যে দরপত্র আহ্বান করেছে মন্ত্রণালয়।

বিশ্বব্যাংক সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন মনে করেন, এমন পরিস্থিতিতে ভবিষ্যৎ খাদ্য ঝুঁকি মোকাবেলায় এখনই রফতানিকারক দেশগুলোর সাথে চুক্তি করা উচিত সরকারের।

এ অর্থনীতিবিদ বলেন, খাদ্যশস্য আমদানিতে ভারতের কোটার সীমা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বাংলাদেশকে। ভারত যদি চাল ও গম রফতানির ক্ষেত্রে মালদ্বীপ ও ভুটানের মতো বাংলাদেশকে কোটা সুবিধা দেয়, তাহলে সংকটের দুশ্চিন্তা কমবে। এক্ষেত্রে সুখবর আসতে পারে সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply