পর্দা নামলো লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবের

|

ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে পর্দা নামলো লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবের। মহামারি–পরবর্তী চমক নিয়ে ফিরেছিল সুইজারল্যান্ডের বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৫তম আয়োজনটি। প্রতিবারের মতো এবারও শৈল্পিক সিনেমাগুলোকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে উৎসবে। বেশিরভাগ তরুণ নির্মাতাদের দখলে ছিল উৎসবের অফিশিয়াল শাখার মনোনয়ন। গত ৩ আগস্ট শুরু হয়ে এ চলচ্চিত্র উৎসব চলেছে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত।

সুইজারল্যান্ডের হ্রদ ও পাহাড়ের শহর হিসেবে পরিচিত লোকার্নোতে শেষ হলো চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মিলনমেলা। উৎসবে প্রথম দিন প্রদর্শিত হয় ডেভিড লিচ পরিচালিত ‘বুলেট ট্রেন’। এছাড়া অফিশিয়াল শাখায় অংশ নেয় ভারতের ‘আরিআপ্পি’, বেলজিয়ামের ‘বোলিং সাটার্ন’, লেবাননের ‘হিউম্যান ফ্লাওয়ার অব ফ্লেশ’, মালয়েশিয়ার ‘স্টোন টার্টল’সহ ১৭টি সিনেমা। অফিশিয়াল শাখার সিনেমাগুলো মধ্য থেকে প্রধান পুরস্কারগুলো দেয়া হয়।

এবারের উৎসবে ১১টি শাখায় সিনেমাগুলো প্রদর্শিত হয়। এর মধ্যে অফিশিয়ালসহ তিনটি শাখায় সিনেমাগুলো প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। উৎসবের সর্বোচ্চ পুরস্কার গোল্ডেন লিওপার্ডের জন্য লড়ে অফিশিয়াল শাখার ১৭টি সিনেমা। তাদের মধ্যে এ বছর সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার জিতেছে জুলিয়া মুরাত নির্মিত ব্রাজিলিয়ান সিনেমা ‘রুল থার্টিফোর।

‘তেংগো সুয়েনোস ইলেক্ট্রিকোস’ সিনেমাটি এবারের লোকার্নোতে তিনটি বিভাগে পুরস্কার জিতেছে। সেরা নির্মাতা, সেরা অভিনেতা এবং সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছে এই সিনেমা। স্পেশাল জুরি প্রাইজ জিতেছে আলেজান্দ্রো কমোডিন’র ‘জিজি লা লেগ’।

বেস্ট ইমার্জিং ডিরেক্টর ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছে জুরাজ লেরোটিক। স্পেশাল জুরি সিনে পুরস্কার পেয়েছে ‘হাউ ইজ কাশিয়া’। এ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেত্রীর তকমা জুটেছে আনাস্টেশিয়া কারপোনকোর। সেরা অভিনেতা হয়েছেন সেফ প্লেস সিনেমার গোরান ম্যাক্রোভিক। জুরিদের স্পেশাল মেনশন পেয়েছে ‘সিস্টার, হোয়াট গ্রোস হোয়ার ল্যান্ড ইজ সিক’ সিনেমা।

ফার্স্ট ফিচার ফিল্ম বিভাগে স্পেশাল মেনশন পেয়েছে বিয়াংকা লুকাসের ‘লাভ ডগ’। আগামীর সিনেমা বিভাগে সেরা লেখক শর্টফিল্ম কার্লোস সেগুন্দোর ‘বিগ ব্যাং’। সেরা আন্তর্জাতিং শর্ট ফিল্ম নির্বাচিত হয়েছে ‘সভেরিন’। সেরা সুইশ নবাগত পুরস্কার জিতেছে মিশেল ফ্লুরির ‘হার্টবিট’।

এ বছর বিভিন্ন শাখায় ২০টি পুরস্কার প্রদান করা হয়। উৎসবে প্রদর্শিত হয় মোট ২২৬টি সিনেমা। এবারের উৎসবে অভিবাসন, জেন্ডার আইডেন্টিটি ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়ের ওপর নজর দেয়া হয়েছে। আগামীর সিনেমার নতুন ধারা চালু করতে ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের নবাগত নির্মাতাদের উৎসাহ দিতেই প্রতিবছর এ উৎসবের আয়োজন।

/এসএইচ
        


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply