বাসের চালকই ডাকাতের সোর্স, পুলিশের হাতে আটক

|

সিনিয়র করেসপনডেন্ট, নাটোর:

নাটোরে ডাকাতের সোর্স অভিযোগে বাসের চালক আলমগীরকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যার আগে নাটোর বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

আলমগীর হোসেন ৬ বছর ধরে আরপি স্পেশাল যাত্রীবাহী বাস চালিয়ে আসছিলেন। সে গুরুদাসপুর উপজেলার আব্দুর রহমানের ছেলে।

নাটোর-ঢাকা-নারায়নগঞ্জ; যে রুটে তিনি বাস চালান, প্রায় দিনই সেই বাসে ডাকাতি হয়। রোববার ওই বাস থেকে ছিনতাই হওয়ার পর কাউন্টার ম্যানেজার ও বাসের সুপারভাইজার ওবায়দুর এবং হেল্পার রুবেল জানান, দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর ও হারপিক মোড়ে সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র রবিন গ্রুপ, সেন্টু গ্রুপ ও আলমগীর গ্রুপ বিভিন্ন বাসযাত্রী ও বাসের সুপারভাইজারের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। নাটোরের বাসযাত্রী ও সুপার ভাইজারের কাছ থেকেও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। কোনো গোপন স্থানে টাকা রাখলেও তারা সেখান থেকে টাকা নিয়ে যায়।

তারা আরও জানান, রোববার নারায়ণগঞ্জ থেকে নাটোরের উদ্দেশে রওনা দেয় আরপি স্পেশাল বাস। নারায়ণগঞ্জের গাউছিয়া রূপসী এলাকায় প্রতিদিনের মতো বাসে ওঠে ডাকাত রবিন। সে বাসের সুপারভাইজার ওবায়দুরকে মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নেয়। সুপারভাইজার ঘটনাটি নাটোর কাউন্টারে ম্যানেজারকে জানিয়ে দেয়। খবর পেয়ে ম্যানেজার ঘটনাটি মদন এলাকায় বিভিন্ন বাস কাউন্টারে জানায়। এক পর্যায়ে ডাকাত সর্দার রবিন নাটোর কাউন্টারে ম্যানেজারকে ফোন করে এই ডাকাতির রহস্য উন্মোচন করে দেয়। পরে ডাকাত রবিন বাসচালক আলমগীরের সংশ্লিষ্টতার তথ্য জানিয়ে দেয়।

নাটোর কাউন্টারে বাস আসার পর আলমগীরকে চ্যালেঞ্জ করে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। ফোনকল রেকর্ডে ডাকাতদের সাথে তার যোগাযোগের কল রেকর্ডটি ফাঁস হয়। পরে বাস কাউন্টারের দায়িত্বরত ম্যানেজার পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে আলমগীরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে নাটোর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, একজন ডাকাত ধরা পড়ার খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে এসেছেন। এসে দেখলেন যাকে আটক করা হয়েছে সে আরপি স্পেশাল যাত্রীবাহী বাসের চালক।

তিনি জানান, এ ব্যাপারে মামলা করতে হলে নারায়ণগঞ্জ চাষারার যেখানে ঘটনা ঘটেছে সেখানকার থানায় মামলা দায়ের করতে হবে। তাকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply