সকালে বেত্রাঘাত, দুপুরে মাদরাসার টয়লেটে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ

|

নিজস্ব প্রতিবেদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি মাদরাসায় টয়লেট থেকে এক ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়েছে। রোববার (১৪ আগস্ট) দুপুরে জেলা শহরের কাউতুলী ইব্রাহিমিয়া তাহফিজুল কুরআন মাদরাসার বালক শাখায় এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে ওই ছাত্রকে মারধর করেছিলেন এক শিক্ষক। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত শিক্ষক হুসাইন আহমেদকে আটক করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।

নিহত শিক্ষার্থী আলীর বাবা কাউছার মিয়ার অভিযোগ, তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। দুপুরে খাবার দিতে এসে টয়লেটে ছেলের লাশ দেখতে পান তিনি। জানান, আলীর পা মাটিতে লাগানো অবস্থায় ছিল।

জেলা শহরের কাউতুলী ইব্রাহিমিয়া তাহফিজুল কুরআন মাদরাসায় ৭০-৭৫ জন শিক্ষার্থীকে পড়ানো হয়। প্রতিদিন ভোর থেকেই তাদের ধর্মীয় শিক্ষা দেয়ার কাজ শুরু হয়। অন্যান্য দিনের মতো আজও ভোর থেকে সেখানে পড়ানো শুরু হয়।

একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, দুপুরে নামাজের পর তারা মোহাম্মদ আলীকে খুঁজে পাচ্ছিল না। এর মধ্যে এক শিক্ষার্থী গিয়ে বাথরুমে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পেয়ে শিক্ষকদের জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। মাদরাসা শিক্ষক মো. সানাউল্লাহ বলেন, দুপুরে আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। এর মধ্যে সামাইন নামের এক শিক্ষার্থী এসে আমাকে জানায়, বাথরুমে ঝুলন্ত অবস্থায় মোহাম্মদ আলীকে দেখেছে। পরে দায়িত্বরত হুজুরকে জানানো হয়।

শিক্ষার্থী আলীকে মারধরে বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক হুসাইন আহমেদ বলেন, পড়া না পারায় সকালে মোহাম্মদ আলীকে বেত্রাঘাত করি। পরে বিষয়টি তাকে বুঝিয়েও বলি। পড়া না পারার বিষয়টি তার বাবাকেও জানাই। দুপুরে বাথরুমে তার লাশ দেখতে পেয়ে আমরা হতভম্ব হয়ে যাই।

এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীনসহ জেলা পুলিশের র্শীষ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন জানান, কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে সেটি নিশ্চিত হতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply