খাগড়াছড়িতে হোসেন আলী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন: মূল পরিকল্পনাকারী মেয়েজামাই

|

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার তবলছড়িতে সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া হোসেন আলী হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। পারিবারিক কলহ, পূর্ব শত্রুতা ও অর্থের লোভে শ্বশুর হোসেন আলীকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে তারই মেয়ের জামাই কামরুল ইসলাম।

আজ রোববার (১৪ আগস্ট) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ। এ সময় পুলিশ সুপার ক্লুলেস এ হত্যাকাণ্ডের বিবরণসহ পুলিশের চলমান কার্যক্রম গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে তুলে ধরেন।

পুলিশ সুপার জানান, এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী কামরুল ইসলাম বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। তার আগে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে কামরুল। এ ঘটনায় আটক সিরাজুল ইসলাম ওরফে পন্ডিত, মো. আশরাফুল নামে অপর দু’জন পুলিশি হেফাজতে আছে। তাদের দুই দিনের রিমান্ডে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসপি।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকালে খাগড়াছড়ির তবলছড়ি ইউপি’র মোহাম্মদপুর এলাকার নিজ বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাঙ্কি থেকে হাসান আলী নামে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সন্দেহজনকভাবে নিহতের মেয়ের জামাই কামরুলকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে।

এদিকে, ঘটনার পর মাটিরাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে নিহতের বড় ছেলে মো. ইউনুস আলী। এ নিয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলায় ৪টি ক্লুলেস হত্যাকাণ্ড ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে বলেছে জানিয়েছে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply