শোকসভার বিরোধিতাকারী শিক্ষার্থীদের রাষ্ট্রীয় অর্থে পাঠদান উচিত কিনা, প্রশ্ন তুললেন নওফেল

|

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ফাইল ছবি।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, যে শিক্ষার্থীরা শোকসভার বিরোধিতা করে প্রতিবাদ করেছে, রাষ্ট্রীয় অর্থে তাদের পাঠদান চালিয়ে যাওয়া উচিত কিনা, সেই সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের নেয়া প্রয়োজন। এটি প্রায় রাষ্ট্রদ্রোহিতার সমতুল্য অপরাধ।

রোববার (১৪ আগস্ট) ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এসব কথা বলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীদের শোকসভায় বুয়েটের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ প্রসঙ্গে ফেসবুক পোস্টটি দিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।

শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের ব্যানারে আলোচনা সভার প্রতিবাদ করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরও সেমিনার হলে ছাত্রলীগের ব্যানারে কীভাবে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে, এ নিয়ে প্রতিবাদ করে শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে বুয়েটের শহিদ মিনারে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। সেখানে তারা বলেন, ছাত্ররাজনীতি আইনত নিষিদ্ধ থাকার পরও কর্তৃপক্ষ কেন ছাত্রলীগকে আলোচনা সভার অনুমতি দিয়েছে তার জবাব দিতে হবে।

পরে বিক্ষোভের মুখে অডিটোরিয়াম ত্যাগ করেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেছেন, শোক দিবসের কোনো অনুষ্ঠান হলে সেটা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ করবে, বুয়েটে কোনো রাজনৈতিক ব্যানারে প্রোগ্রাম করতে দেয়া হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা সত্ত্বেও আজ বুয়েট অডিটোরিয়ামে ছাত্রলীগের আয়োজনে একটি ব্যানার দেখা যায়। কারা, কেন তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক ব্যানারে অনুষ্ঠান আয়োজেনের অনুমতি দিয়েছে, আমরা তার জবাব চাই।

এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে যমুনা নিউজকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, এটা আমার রাজনৈতিক অবস্থান। এটি নিয়ে বিতর্কে যেতে চাই না। জাতির পিতার শোকসভাকে ঘিরে কিছু শিক্ষার্থীর এমন আচরণ অগ্রহণযোগ্য।

আরও পড়ুন: কেন ছাত্রলীগের সাবেকদের অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়া হয়েছে, প্রশ্ন বিক্ষুব্ধদের

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply