আগামী বছরেই শেষ হতে পারে পদ্মা সেতুর মাওয়া-ভাঙা রেলপথের কাজ

|

পদ্মা সেতুর সড়কপথ চালু হওয়ার পর উত্তরাঞ্চলের মানুষের ভোগান্তি কমেছে কয়েকগুণ। সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থায় এসেছে আমূল পরিবর্তন। এখন পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। আগামী বছরের জুনেই পদ্মা সেতুর মাওয়া-ভাঙা রেললাইনে ট্রেন চলাচল চালু করার লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে। এই রেলপথ চালু হলে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা থেকে খুলনার রেলপথের দূরত্ব বর্তমানের চেয়ে অর্ধেক কমবে।

ঢাকা থেকে মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুরের জাজিরা, মাদারীপুরের শিবচর হয়ে এই রেললাইন যুক্ত হবে ফরিদপুরের ভাঙায়। পরে এটি বিস্তৃত হবে যশোর পর্যন্ত। সেতুর মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে সাড়ে ৬ কিলোমিটার ভায়াডাক্টের ওপর বসে গেছে রেলস্লিপার। মূল সেতুতেও কাজ চলছে পুরোদমে। পুরো প্রকল্পের অগ্রগতি প্রায় ৬৫ শতাংশ। এরমধ্যে মাওয়া থেকে ভাঙা অংশের কাজের অগ্রগতি ৮২ শতাংশ।

পদ্মা সেতুর রেল প্রকল্পের উপ সহকারী প্রকৌশলী মিন্টু হোসেন বলেন, মাওয়া থেকে ভাঙা অংশের কাজের অগ্রগতি ৮২ শতাংশ, মাওয়া থেকে ঢাকা পর্যন্ত ৬৭ শতাংশ আর ভাঙা থেকে যশোর পর্যন্ত ৫২ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

মাওয়া, পদ্মা ও শিবচর নামে তিনটি স্টেশনের পাশাপাশি ভাঙায় নির্মাণ করা হচ্ছে আধুনিক রেলওয়ে জংশন। পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেন চলাচল করলে ঢাকা থেকে খুলনার রেলপথের দূরত্ব বর্তমানের চেয়ে ২১২ কিলোমিটার কমে আসবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে চলাচলের উপযোগী করে তৈরি হচ্ছে রেললাইন।

প্রকল্প ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদ আহমেদ ব্যবস্থাপক বলেন, প্রতিটি লেয়ার চেক করে আমরা কাজ করছি। সেই দিক দিয়ে এটি বাংলাদেশে অন্যরকম একটি ট্র্যাক হবে। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply