কলেজছাত্রকে বিয়ে করে আলোচিত সেই শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার; স্বামী আটক

|

সিনিয়র করেসপনডেন্ট, নাটোর:

কলেজছাত্রকে বিয়ে করে আলোচিত নাটোরের শিক্ষিকা খাইরুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। কলেজছাত্র মামুন হোসেনকে বিয়ে করার ছয়মাসের মাথায় শহরের একটি বাসা থেকে এই শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করা হলো। এ ঘটনায় নিহত শিক্ষিকার স্বামী মামুনকে আটক করা হয়েছে।

রোববার (১৪ আগস্ট) সকাল সাতটার দিকে শহরের বলারিপাড়ার একটি ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের স্বামী নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মামুন হোসেন বলেন, রোববার ভোরে ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য তিনি তার স্ত্রীকে ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে বাড়ির বাইরে যান। পথে জরুরি কথা বলার জন্য স্ত্রী খাইরুন নাহারকে ফোন করেন। কিন্তু ফোনকলটি খায়রুন নাহার রিসিভ করেননি। এরপর মামুন তার স্ত্রীকে আরও কয়েকবার কল করেন। এতেও ফোন রিসিভ না হলে মামুন বাড়িতে ফিরে আসেন। এরপর দরজা খুলে ঘরে গিয়ে স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে অন্য ঘরে গিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখেন। পরে গ্যাসলাইট দিয়ে ওড়না পুড়িয়ে তার স্ত্রীকে নিচে নামিয়ে বাড়ির কেয়ারটেকারকে ডাক দেন। এরপর পুলিশকে জানানো হয়।

নাটোর পুলিশ তদন্ত ব্যুরোর পুলিশ সুপার শরিফ উদ্দিন জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। ময়নাতদন্তের পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বলা যাবে প্রকৃত ঘটনা কী। এছাড়া তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী মামুন হোসেনকে আটক করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, নিহত শিক্ষিকা খাইরুন শহরের পৌর এলাকার বাসিন্দা ও খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এর আগে, ভালোবেসে কলেজ শিক্ষিকা খাইরুন নাহারকে বিয়ে করে আলোচনায় এসেছিলেন মামুন নামের কলেজছাত্র। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এক বছর আগে ফেসবুকে খাইরুনের সঙ্গে পরিচয় হয় নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামের মোহাম্মাদ আলীর ছেলে মামুনের। পরে তাদের দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর কাউকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করেন তারা।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply