আরও অস্থির হচ্ছে সবজির বাজার

|

পাইকারি থেকে খুচরা বাজার, দাম নিয়ে স্বস্তি মিলছে না কোথাও। হাতবদল হলেই সবজির দাম বেড়ে যাচ্ছে। বেশি ঝাঁঝ কাঁচা মরিচে। ব্যবসায়ীদের দাবি, সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে। অন্যদিকে উৎপাদন খরচ বেড়েছে বলে জানাচ্ছেন কৃষকরা। বৈরি আবহাওয়ার কারণে ফলনও কম হয়েছে। এ সুযোগের ফায়দা নিচ্ছে মধ্যসত্ত্বভোগীরা। এমন পরিস্থিতিতে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস দশা।

পায়কারি বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা বেড়েছে পটল, করলা, ঝিঙে, কচু ও মিষ্টি কুমড়ার দাম। বেগুন ও ঢেঁড়সের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৮ টাকা। কাঁচা মরিচের বাজার এখন সবচেয়ে বেশি অস্থির। প্রতি কেজি মরিচ পায়কারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। আড়তদারদের দাবি, আগের চেয়ে সরবরাহ কমেছে। তারা বলছেন, যেখানে আগে ৫ মণ সবজি পাওয়া যেতো, এখন হাতে আসছে ২ মণ। চাহিদা অনুযায়ী পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। তার ওপর দুর্যোগ, ফলনও কম।

দুর্ভোগের কথা বলছেন কৃষকরাও। বৈরি আবহাওয়ায় ফলন কম হয়েছে বলে দাবি তাদেরও। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে উৎপাদন খরচ। এতে হিমশিম খাচ্ছেন কৃষকরা। অথচ সেই পণ্যে লাভবান হচ্ছেন মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা।

এদিকে, পাইকারিতে কাঁচা মরিচ কেজিতে সর্বোচ্চ ১৭০ টাকা হলেও খুচরা পর্যায়ে তা বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। প্রতিটি পণ্যের দামেই একই চিত্র। দাম চলে যাচ্ছে ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। কম সরবরাহ আর পরিবহন খরচ বাড়ার অজুহাতে আকাশচুম্বী হচ্ছে সবজির দাম।

শুধু সবজি নয়, স্বস্তি নেই ডিম-চাল-ডালসহ প্রতিটি নিত্যপণ্যেই। খাদ্যর মূল্য আর পরিবহন খরচ বৃদ্ধিতে ব্রয়লার মুরগীর দামও বেশি রাখছেন ব্যবসায়ীরা। সব মিলিয়ে দিশেহারা ক্রেতারা। বাজার নিয়ন্ত্রণে তদারকির দাবি জানিয়েছেন ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply