রুশ অধিকৃত ক্রাইমিয়ায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর জেলেনস্কি বলেছেন, ‘এখানেই শেষ হবে যুদ্ধ’

|

ছবি: সংগৃহীত

ভয়াবহ বিস্ফোরণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত ক্রাইমিয়ার বিমানঘাঁটি। ১২ দফা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে স্যাকি বিমানঘাঁটি। রুশ নিয়ন্ত্রিত ক্রাইমিয়ায় স্পর্শকাতর এলাকাটির অবস্থান। এ কারণেই, সবার দৃষ্টি নিবদ্ধ সেখানে। রানওয়ে অক্ষত থাকলেও, ধ্বংস হয়েছে ৮টি যুদ্ধবিমান।

এদিকে, হামলা নয়; বরং দুর্ঘটনা আখ্যা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে রাশিয়া। প্রকাশ করেনি ক্ষয়ক্ষতির হিসাবও। কিন্তু, মার্কিন স্যাটেলাইট প্ল্যানেট ল্যাবসের ছবিতে বেরিয়ে এসেছে বাস্তব চিত্র। রানওয়ে অক্ষত থাকলেও পুরোপুরি ধ্বংস ৮টি বিমান। গোটা এলাকায় ধ্বংসের ছাপ স্পষ্ট।

ক্রাইমিয়ার গভর্নর সের্গেই আকসিয়োনভ বলেছেন, বিমানঘাঁটির দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন এক নারী, আরও ১৪ জন আহত। ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৬২টি বহুতল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত। বর্তমানে সংস্কারের দিকেই আমরা মনোযোগ দিচ্ছি। তাছাড়া, অস্থায়ী শরণার্থী কেন্দ্রে সরানো হয়েছে আড়াই শতাধিক মানুষকে। ঘটনাস্থলে অনুসন্ধান কার্যক্রম চালাচ্ছে গোয়েন্দা দল।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। কৌতুক করেই লিখেছে, গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ধূমপানের ব্যাপারে আরও সতর্ক হওয়া উচিৎ। তবে, ক্রাইমিয়া পুনরুদ্ধারের ব্যাপারে আবারও জোরালো ঘোষণা দিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

জেলেনস্কি বলেছেন, কবে নাগাদ যুদ্ধ শেষ হবে; সেটা নিয়েই উদ্বেগ। কেউ বলছেন আরও কয়েকমাস, কারো মতে কয়েক বছরও লাগতে পারে। মূলত, রাশিয়া যত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, ততো দ্রুত আগ্রাসন শেষ করবে। এরইমধ্যে, প্রাণ হারিয়েছে ৪৩ হাজারের বেশি রুশ সেনা। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত ক্রাইমিয়ার বিমানঘাঁটি। আবারও বলছি, ক্রাইমিয়া দখলের মাধ্যমে যুদ্ধ শুরু করেছিলো রাশিয়া, সেখানেই ঘটবে ইতি।

কিয়েভের মিত্রদের কণ্ঠেও স্বস্তি। দাবি, নিজ ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারে হামলা চালানোর এখতিয়ার রয়েছে ইউক্রেনের। ব্রিটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেসের মতে, বিমানঘাঁটিতে দু’টি বিচ্ছিন্ন বিস্ফোরণ দুর্ঘটনার তুলনায় হামলার দিকেই ইঙ্গিত করে। ইউক্রেন যদি সামরিক শক্তি ব্যবহার করেও, সেটা পুরোপুরি বৈধ। কারণ, নিজ ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনে তারা অভিযান চালাতে পারে। একইসাথে, দখলদারদের তাড়াতেও ইউক্রেনীয় সেনাদের হামলা বৈধ।

সূত্র: বিবিসি

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply