‘ধীর গতিতে আঙুল তুলে আউট দেওয়া’ আম্পায়ার রুডির মর্মান্তিক মৃত্যু

|

ছবি: সংগৃহীত

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার খ্যাতিমান সাবেক আম্পায়ার রুডি কোয়ের্তজেন। কেপটাউনে গলফ খেলে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় পড়েন তিনি। ৭৩ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেলেন আইসিসির এলিট প্যানেলের সাবেক এই আম্পায়ার।

তার ছেলে রুডি কোর্টজেন জুনিয়র দক্ষিণ আফ্রিকার আলগোয়া এফএম নিউজকে বলেছেন, রুডি তার কিছু বন্ধুর সাথে একটি গলফ টুর্নামেন্টে গিয়েছিলেন। সোমবার তাদের ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু তারা আরও একটি রাউন্ড খেলার জন্য থেকে গিয়েছিলেন।

দেড় যুগে ৩৩১টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ পরিচালনা করেছেন রুডি। এর মধ্যে ১০৮টি টেস্ট, ২০৯টি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল ১৪টি। ২০১০ সালে শেষবারের মতো আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছিলেন রুডি।

আম্পায়ার হিসেবে তিনি পাকিস্তানের আলিম দারের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। ধীর গতিতে আঙুল তুলে আউট দেওয়ার কারণে তিনি বেশ জনপ্রিয় ছিলেন রুডি।

রুডির মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অনেকে। ভারতের কিংবদন্তি ওপেনার বীরেন্দ্র শেবাগ সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রদ্ধা নিবেদন করে লিখেছেন, ভেলে রুডি কোর্টজেন! ওম শান্তি। তার পরিবার এবং বন্ধুদের প্রতি সমবেদনা। তার সাথে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল আমার। যখনই আমি র‍্যাশ শট খেলতাম, তিনি আমাকে তিরস্কার করতেন। বলতেন, বুদ্ধি করে খেলো, আমি তোমার ব্যাটিং দেখতে চাই।

আলিম দার বলেছেন, রুডির মৃত্যু তার পরিবার, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ক্রিকেটের জন্য একটি বড় ক্ষতি। আমি তার সাথে অনেক খেলায় দাঁড়িয়েছি। তিনি কেবল একজন আম্পায়ার হিসাবে খুব ভালো ছিলেন না, একজন দুর্দান্ত সহকর্মীও ছিলেন। খেলোয়াড়দের কাছে তিনি ছিলেন অত্যন্ত সম্মানিত।

দক্ষিণ আফ্রিকার আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাস বলেছেন, রুডি শারীরিক ও মানসিকভাবে একজন শক্তিশালী চরিত্র ছিলেন। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার আম্পায়ারদের বিশ্বমঞ্চে যাওয়ার পথ তৈরি করেছিলেন। তিনি একজন সত্যিকারের কিংবদন্তি। একজন তরুণ আম্পায়ার হিসেবে তার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply