জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি: সকাল থেকেই দেশজুড়ে পরিবহন সঙ্কট, বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

|

বাসের অপেক্ষায় সাধারণ জনগণ। ছবি: সংগৃহীত।

তেলের দাম বৃদ্ধিতে দেশব্যাপী বিপাকে পড়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। যার প্রভাব পড়েছে জনজীবনেও। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকেই জ্বালানিতে বাড়তি মূল্য কার্যকর হয়েছে। এতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা দিয়েছে পরিবহন সঙ্কট। রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা কম থাকার পাশাপাশি অভিযোগ আছে বাড়তি ভাড়া নেয়ারও। তবে শনিবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে ভোগান্তিতে পড়েছে অফিস ও স্কুলগামীরা।

রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে আজ যানবাহনের সংখ্যা হাতে গোনা। ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়েই যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সামান্য কিছু বাস থাকলেও তাতে চড়তে রীতিমতো লড়াই করতে হচ্ছে তাদের। কিছু কিছু বাসে বাড়তি ভাড়া চাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্যদিকে সকাল থেকেই বিভিন্ন তেলের পাম্পে গাড়ির লম্বা লাইন দেখা গেছে। বাড়তি টাকা গুনেই নিতে হচ্ছে জ্বালানি।

এদিকে, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে শুক্রবার রাত থেকেই বন্দরনগরী চট্টগ্রামে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেয় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপ। এতে সকালে ভোগান্তিতে পড়তে হয় অফিস ও স্কুলগামীদের। পরিবহনের অভাবে বিভিন্ন স্থানে দেখা দেয় মানুষের জটলা। বাস না পেয়ে আগ্রাবাদ এলাকায় বিক্ষোভ করেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা।

রাজশাহীতেও রাস্তায় গণপরিবহনের সংখ্যা ছিল প্রায় হাতে গোনা। সকালে বাড়ি থেকে বের হয়েই বিপাকে পড়তে হয় জনসাধারণকে। এদিকে আগে থেকে অনেকেই জানতেন না তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি। সবাই জরুরি প্রয়োজনে যতটুকু তেল প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই কিনছেন।

অনেকটা একই চিত্র ছিল বরিশাল, খুলনা, রংপুরসহ বিভিন্ন জেলায়। মানুষের মনে শঙ্কা, পরিবহন খরচ বাড়ার সাথে সাথে বাড়বে সব ধরনের ব্যয়। ফের আরও এক দফা দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়া ও সেই সাথে জীবন মানের ব্যয় বাড়া নিয়েও শঙ্কায় সাধারণ মানুষ।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মূল্যবৃদ্ধির এ ঘোষণা আসে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাত ১২টার পর থেকে ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের ভেতর ভোক্তা পর্যায়ে লিটারপ্রতি খুচরা মূল্য ডিজেল ১১৪ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা, ও পেট্রোল ১৩০ টাকায় বিক্রি হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বাংলাদেশের তুলনায় অনেক বেশি হওয়ায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি), ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল)-এ পরিশোধিত এবং আমদানি বা ক্রয়কৃত ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোলের মূল্য সমন্বয় করে ভোক্তা পর্যায়ে এই দাম পুনঃনির্ধারণ করা হলো।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply