ডায়রিয়ার চিকিৎসা করাতে গিয়ে আঙুল হারাতে হলো তাসনিমকে

|

আর দশটা শিশুর মত স্বাভাবিকভাবেই জন্মেছিল শিশু তাসিম মোল্লা। তবে সম্প্রতি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে জটিলতা হলে শিশু তাসিম মোল্লার হাতের তিনটি আঙুল কেটে ফেলতে হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ সঠিকভাবে ইনজেকশন পুশ না করায় শিশুটির এ ক্ষতি হয়েছে। ঘটনার পেছনে দোষীদের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ নিয়ে ঘুরছে ভুক্তভোগী পরিবারটি।

পাবনা সদর উপজেলার গাছপাড়া এলাকার জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ও শাহানাজ পারভিন দম্পত্তির ১৩ মাস বয়সী সন্তান তাসিম মোল্লা। গেল ১০ জুন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে তাসিমকে ভর্তি করা হয় পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে। ১০-১৮ জুন পর্যন্ত পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিল তাসিম।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ জুন সকালে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী কর্তব্যরত নার্স শিশু তাসিমকে ইনজেকশন পুশ করেন। ইনজেকশন পুশ করার পর থেকেই শিশুটির ডান হাত ফুলতে থাকে এবং যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকে। সে সময় কর্তব্যরত চিকিৎসককে দেখালে তিনি ক্ষত স্থানে বরফ দিতে বলেন এবং ওষুধ খাওয়াতে বলেন। অবস্থায় অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও কোনো সমাধান না পেয়ে অবশেষে চিকিৎসকের পরামর্শে শিশুটির ডান হাতের তিনটি আঙ্গুল কাটতে হয়। এর জন্য চিকৎসকদের দায়ী করার পাশাপাশি শিশুটির অনাগত ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বিগ্ন শিশুটির পরিবার। এর জন্য দায়ীদের বিচার দাবী করে পরিবারটি।

প্রকৃত ঘটনা জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান পাবনা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী। একই কথা জানিয়েছেন পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. ওমর ফারুক মীরও।

প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হবে এবং চিকিৎসায় অবহেলাকারীরা শাস্তি পাবে এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply