কোন মার্কিনি গোপন অস্ত্রে প্রাণ গেলো আল কায়েদা প্রধানের?

|

ছবি: সংগৃহীত।

আল কায়েদা প্রধান আইমান আল জাওয়াহিরি মার্কিন অভিযানে নিহত হয়েছেন। সোমবার (২ আগস্ট) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে ঠিক কোন অস্ত্র দিয়ে ৯/১১ হামলার অন্যতম এই চক্রান্তকারীকে হত্যা করা হলো তা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে রহস্য। খবর এনডিটিভির।

আইমান আল জাওয়াহিরিকে হত্যার পর হামলার কয়েকটি ছবি সামনে এসেছে। বলা হচ্ছে, ড্রোন থেকে ছোড়া দুটি মিসাইলের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে ৭১ বছর বয়সী এই চরমপন্থীর। তবে ছবিতে এ নিয়ে কিছু অসংগতি দেখা যায়।

ছবিতে দেখা যায়, হামলায় আইমান আল জাওয়াহিরির ঘরের জানালাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বাড়ির আর কোথাও হামলার চিহ্ন নেই। জাওয়াহিরির বাড়ির অন্যান্য ঘরগুলোও অক্ষত ছিল। এমনকি এ হামলায় কোনো রকম শব্দও কানে আসেনি কারোর। বিস্ফোরণ হয়নি, এমনকি অক্ষত ছিল আশপাশের ঘরবাড়িগুলোও। এখন প্রশ্ন হলো, এমন কোন গোপন অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হলো তাকে?

এ হামলার ধরন দেখে আবারও সামনে উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ম্যাকাব্রে হেলফায়ার আরনাইনএক্স’ মিসাইলের বিষয়টি। এটি যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ ও গোপন একটি অস্ত্র। ‘ওয়ারহেড-লেস মিসাইল’ এর প্রধান বৈশিষ্ট হলো, এটি তার লক্ষ্যবস্তুকে ক্ষতবিক্ষত করলেও হামলার আর কোনো চিহ্ন থাকবে না। শব্দ বা বিস্ফোরণও হবে না।

‘ম্যাকাব্রে হেলফায়ার আরনাইনএক্স’ এর প্রথম প্রয়োগের বিষয়টি সামনে আসে ২০১৭ সালে। সে সময় আরেক চরমপন্থী আল-কায়েদার জ্যেষ্ঠ নেতা আবু আল-খায়ের আল-মাসরিকে হত্যা করা হয় মার্কিন অভিযানে। সে সময় সিরিয়ায় নিজের গাড়িতে ঘুরছিলেন তিনি। ওই সময় মার্কিন ড্রোন হামলা চালানো হয় তার গাড়িতেই।

এ হামলারও ছবি প্রকাশ্যে আসে। দেখা যায়, গাড়িতে আবু আল-খায়ের আল-মাসরি যেখানে বসে ছিলেন সেই বরাবর গাড়ির ছাদ ছিদ্র হয়ে গেছে। অথচ গাড়ির আর কোথাও কোনো হামলার চিহ্ন নেই। এমনকি গাড়ির আর কোথাও একটি আঁচড়ও লাগেনি। তখন থেকেই বিশেষ এই অস্ত্র নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়।

২০১৭ সালের পর থেকে মার্কিন অভিযানে নিহত আরও বেশ কয়েকজন চরমপন্থীর ক্ষেত্রে এই ধরনের হামলার নজির পাওয়া যায়। তবে এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মুখ খোলেনি পেন্টাগন বা সিআইএ।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply