নেত্রকোণায় মায়ের পাশ থেকে মেয়েকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ২

|

স্টাফ রিপোর্টার নেত্রকোণা:

নেত্রকোণার মদনে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক কিশোরী (১৪)। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাতে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে মদন থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে রাব্বি মিয়া (২৫) ও অন্তর মিয়া (২৩) নামের দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে মদন থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত রাব্বি মিয়া বাশরী (বাফলা) গ্রামের নূর মিয়ার ছেলে ও অন্তর (২৩) একই গ্রামের মঞ্জিল হকের ছেলে। বাকি আসামিরা হলো- একই গ্রামের মৃত আব্দুল কদ্দুছের ছেলে সারু মিয়া (২৫), কাঞ্চন বাবুর্চীর ছেলে বাছির মিয়া (২৭) ও শাহানুর মিয়া (৩৮)। এর আগে, ২১ জুলাই রাতে কাইটাইল বাজারের পাশে মদন-কেন্দুয়া সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই কিশোরী তার মায়ের সঙ্গে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে রওনা হয়। ওই উপজেলার তিয়শ্রী বাজারে আসলে অন্ধকার ঘনিয়ে আসে। সেখান থেকে একটি অটোরিকশাযোগে কাইটাইল বাজারের পাশে এসে তারা নেমে যায়। কিশোরীকে রাস্তার এক পাশে রেখে অন্য পাশে অটোচালককে ভাড়া দিতে যায় তার মা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আরেকটি অটোরিকশায় ৫ যুবক উচ্চ শব্দে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায়। ভাড়া দিয়ে রাস্তার পাশে মেয়েকে না পেয়ে ডাক চিৎকার শুরু করে কিশোরীর মা। মেয়েকে না পেয়ে বাড়ির লোকজন নিয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে।

এদিকে ৫ বখাটে ওই কিশোরীকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে বাররী গ্রামের সেলিম মিয়ার ঘরে আটকে রাখে। পরে রাতভর ওই কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা। পরদিন সকালে হত্যার ভয় দেখিয়ে আরেক দফা ধর্ষণ করার সময় প্রতিবেশীরা বিষয়টি জানতে পারে। এ সময় বখাটেরা পালিয়ে গেলে কিশোরীর পরিবারের লোকজনকে খবর দেয় প্রতিবেশীরা। পরে তাকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাতেই দুইজনকে গ্রেফতার করেন।

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গ্রেফতারকৃতদের বুধবার নেত্রকোণা আদালতে পাঠানো হবে। এর সাথে ভুক্তভোগী কিশোরীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply