মোদির মেয়াদেই তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরে আশাবাদি ভারত

|

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বর্তমান মেয়াদে বাংলাদেশের সাথে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে এখনও হাল ছাড়েনি ভারত। ২০১৯ সালে বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই চুক্তির লক্ষ্যে কাজ করছে নয়াদিল্লি। দিল্লিতে বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমার অস্বীকৃতি জানায়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিজেপি সরকারের ৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে সোমবার বিকেলে নয়াদিল্লিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নরেন্দ্র মোদির সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।

প্রশ্নোত্তর পর্বে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষরের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সাংবাদিকরা। সুষমার দাবি, নরেন্দ্র মোদির প্রতিশ্রুত সময়েই চুক্তির চেষ্টা করছে নয়াদিল্লি। বলেন, তিস্তা চুক্তি ইস্যুতে সরকার ব্যর্থ এটা বলার সুযোগ নেই। কারণ এখনও পুরো এক বছর বাকি আছে বিজেপি সরকারের। এই সময়ের মধ্যেই চুক্তি সম্পন্নের লক্ষ্যে কাজ করছি আমরা। তবে বিষয়টির সাথে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও জড়িত। তিস্তা বাদ দিয়ে অন্য তিন নদী থেকে বাংলাদেশকে পানি দেয়ার যে বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি, তার সম্ভাব্যতা যাচাইয়েরও কাজ চলছে।

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়েন সুষমা। তার মতে, দ্বিপাক্ষিক আলোচনা-সমঝোতার মাধ্যমেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শেষ করতে পারবে বাংলাদেশ-মিয়ানমার।

সুষমা বলেন, মিয়ানমার সফরের সময় রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে আমি অং সান সু চির সাথে কথা বলেছি। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সমঝোতায় আমরা খুশি। এখন রোহিঙ্গাদের পরিচয় যাচাই বাছাইয়ে কাজ করছে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ। আপনারা জানেন, এরইমধ্যে ফেরত নেয়ার জন্য বারোশো বাইশ রোহিঙ্গার তালিকাও দিয়েছে মিয়ানমার।

অন্য অনেক ইস্যুর পাশাপাশি পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক নিয়েও কথা বলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, সন্ত্রাসবাদে সহায়তা বন্ধ না করা পর্যন্ত ইসলামাবাদের সাথে কোনো আলোচনা নয়।

যমুনা অনলাইন: এটি


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply