পদত্যাগ করছেন বরিস জনসন

|

অবশেষে পদত্যাগ করতে রাজি হয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, কনজারভেটিভ পার্টির ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যান স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডির সাথে কথা বলেছেন বরিস জনসন এবং পদত্যাগ করতে রাজি হয়েছেন। সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টায় এ সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

দেশটির দু’জন সাবেক মন্ত্রী গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন, বরিস আর একদিনও প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারেন না। তাকে আজ রাতের মধ্যেই পদত্যাগ করতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রীর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

এদিকে বিবিসি জানিয়েছে, বরিস জনসন তার রাজনৈতিক দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হিসেবে পদত্যাগ করবেন। দেশটির আরেক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স বলছে, বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন জনসন।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার কনজারভেটিভ নেতার পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেও আগামী শরৎকাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বরিস জনসন। চলতি গ্রীষ্মেই কনজারভেটিভ দলীয় নেতৃত্ব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর আগামী অক্টোবরে নতুন প্রধানমন্ত্রী জনসনের স্থলাভিষিক্ত হবেন।

রয়টার্স লিখেছে, বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদ্যাগের ঘোষণা দেবেন বরিস জনসন। সদ্য-নিযুক্ত মন্ত্রী এবং ৫০ জনের বেশি সংসদ সদস্য তাকে ছেড়ে যাওয়ায় ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে জনসন নেতৃত্বাধীন সরকারের।

নানা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে নিজ দলের মন্ত্রী এবং সদস্যদের বিদ্রোহের মুখোমুখি হওয়া বরিস জনসন গত মাসে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তবে সেখানে উৎরে যান তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মে মাসে যুক্তরাজ্যে যখন করোনা মহামারির প্রথম ঢেউ চলছিল, সেই সময় বেশ কয়েকজন অতিথির জন্য লন্ডনের ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে নিজের সরকারি বাসভবনে পার্টির আয়োজন করেছিলেন বরিস জনসন। ওই পার্টিতে শতাধিক অতিথি আমন্ত্রিত ছিলেন এবং সবাইকে যার যার মদ আনার আহ্বান জানানো হয়েছিল।

ইমেইলের মাধ্যমে পার্টিতে অতিথিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। গত জানুয়ারিতে ইমেইলটি ফাঁস হয়। গণমাধ্যমে এই ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর পার্লামেন্টের বিরোধী দল লেবার পার্টির এমপিরা জনসনের পদত্যাগ দাবি করেন। দেশের সাধারণ জনগণের মধ্যেও তার জনপ্রিয়তায় ব্যাপক ভাটা পড়ে।

/এটিএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply