মিরপুরের মাটিতে পরিসংখ্যানে উজ্জ্বল মোস্তাফিজ, বিবর্ণ বিদেশে

|

মোস্তাফিজুর রহমান। ফাইল ছবি।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাদে গত ৩ বছরে দেশের বাইরে মলিন মোস্তাফিজুর রহমানের বোলিং পারফরম্যান্স। দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মতো দলকে কাটারের মায়াজালে বিদ্ধ করতে পারলেও এই ৩ বছরে অ্যাওয়ে সিরিজে কালেভদ্রে উইকেট পেয়েছেন কাটার মাস্টার।

২০১৬ সাল থেকে ভারতের মাটিতে আইপিএল খেলা মোস্তফিজ বাংলাদেশের জার্সিতে ভারত থেকে ফিরেছিলেন উইকেটশূন্য হয়ে। প্রতিপক্ষের মাঠে জিম্বাবুয়ে ছাড়া অন্য যে কোনো দেশের বিরুদ্ধে বিবর্ণই লেগেছে কাটার মাস্টারকে।

মিরপুরের মাঠে টি-২০ ফরম্যাটে মোস্তাফিজ নিয়েছেন ৩৮টি উইকেট। একেকটা উইকেটের জন্য খরচ করেছেন মোটে ১৬ রান। অথচ দেশের মাটিতেই মিরপুরের বাইরে চট্টগ্রাম এবং সিলেটে মুস্তাফিজের ইকোনমি দশ বা তার কাছাকাছি।

মোস্তাফিজ বাংলাদেশের একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নিয়েছেন আইপিএল এর গত আসরে। শুরুর দিকে ছিলেন দিল্লী ক্যাপিটালস দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু সব ধরনের উইকেটে ফিজ এর ওপর ভরসা করতে পারেননি ওয়ার্নাররা। কারণ, সব ধরনের উইকেটে তার কাটারের কার্যকারিতা এক রকম হয় না।

গত ৩ বছরে বিশ্বকাপ বাদে ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড এবং জিম্বাবুয়েতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন মোস্তাফিজ। যেখানে আইপিএল খেলা মোস্তাফিজের ভারতের মাটিতে ইকোনমি রেট ৯.১৬, পাননি কোনো উইকেট।

২০২১ সালে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে হ্যামিল্টনে খেলা একমাত্র ম্যাচে ৪ ওভারে ৪৮ রান দিয়েছিলেন দ্য ফিজ। সেদিনও কোনো উইকেট নেই। ২০২০ সালে লাহোরে খেলা দুই ম্যাচে উইকেট পেয়েছেন মোটে একটি। যেখানে তার ইকোনমি ৯.৮৩। তিন বছরের এই সময়কালে অ্যাওয়ে সিরিজে ৭ ম্যাচে নিয়েছেন ৪ উইকেট। যার ৩টিই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। ইকোনমি রেট ৯.৭৮।

শুধু টি-২০ নয়, সাদা বলের ওয়ানডে সংস্করণে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও উইকেটশূন্য ছিলেন মোস্তাফিজ। তার মানে বোঝাই যাচ্ছে, বাইরের কন্ডিশনের জন্য অস্ত্রভাণ্ডার আরও সমৃদ্ধ করতে হবে এই কাটার মাস্টারকে।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply