শোকজের প্রতিবাদে দুই দিন ধরে কর্মবিরতি সাদুল্লাপুরের দলিল লেখকদের

|

সাদুল্লাপুর সাবরেজিস্ট্রি অফিস।

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে দলিল লেখক মোখলেছুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশের প্রতিবাদে দলিল লেখা বন্ধ করে দিয়েছেন দলিল লেখক সমিতির সদস্যরা। এ কারণে গত দুইদিনে (মঙ্গলবার ও বুধবার) সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে কোনো দলিল রেজিষ্ট্রি হয়নি বলে জানা গেছে। ফলে, জমি ক্রয়-বিক্রয় করতে এসে চরম বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুৃষ।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (৫ জুলাই) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দলিল লেখা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন সাদুল্লাপুর দলিল লেখক সমিতির সদস্যরা। এর আগে, গত ৩০ জুন দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমানকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেন সাব-রেজিস্ট্রার মো. মেহেদী হাসান। নোটিশে তাকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে তাকে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়। বুধবার (৬ জুলাই) বিকেলে দলিল লেখা বন্ধের খবর আসে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীর কাছে। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে একদমই ফাঁকা। তবে অফিসের বরান্দায় নকলনবীশ আর টিনসেড ঘরে দলিল লেখকদের উপিস্থিতি ছিল। এ সময় দলিল লেখক সমিতির অফিস রুমে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে দেখা যায় জেলার দলিল লেখক সমিতির সদস্যদের।

নোটিশের বিষয়ে দলিল লেখক মোখলেছুর রহমান জানান, দুইটি হেবার ঘোষণার (অগ্রাহ্যকৃত) দলিল ফেরত চাওয়া ও অসৌজন্যমূলক আচরণসহ কিছু বিষয় উল্লেখ করে নোটিশ দেন সাব-রেজিস্ট্রার। এ নোটিশের প্রতিবাদে দলিল লেখকেরা দলিল খেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। এ বিষয়ে জেলার দলিল লেখক সমিতির নেতৃবৃন্দর সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। তবে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।

দলিল লেখকদের অভিযোগ, যোগদানের পর থেকেই সাব-রেজিস্ট্রার মেহেদী হাসান নানা অনিয়ম ও ঘুষ-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। দলিল সম্পাদনে নানা ত্রুটি-অজুহাতে ক্রেতা-বিক্রেতাদেরও হয়রানি করেন তিনি। এছাড়া বেলা ১২টায় অফিসে আসলেও বিকাল থেকে শুরু করেন দলিল রেজিস্ট্রি। ফলে গভীর রাত পর্যন্ত দলিল সম্পাদনে মানুষের ভোগান্তি বাড়লেও তার কোনো পরিবর্তন হয়নি। শুধু তাই নয়, প্রায়ই তিনি দলিল লেখকসহ অধীনস্ত কর্মচারীদের সাথেও খারাপ আচরণ করেন বলে অভিযোগ আছে। এমনকি অনেক সময় দাতা-গ্রাহীতাদের সামনেও দলিল লেখকদের হয়রানিসহ গালমন্দ করেন। এসবের প্রতিবাদ জানালেই তিনি দলিল লেখকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা কিংবা লাইসেন্স বাতিলের হুমকি-ধামকি দেন। তাই অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করাসহ সাব-রেজিস্ট্রি মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানিয়য়েছেন দলিল লেখকরা।

যদিও এ বিষয়ে জানতে গিয়ে সাব-রেজিস্ট্রার মো. মেহেদী হাসানকে অফিসে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে বক্তব্য জানতে চাইলেও কথা বলতে রাজি হননি তিনি। তবে বিষয়টি নিয়ে অফিসে বসে কথা বলবেন জানিয়ে ফোন কেটে দেন তিনি।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply