চবিতে শিক্ষক নিয়োগে অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল

|

ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শিক্ষক নিয়োগে অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা তদন্তে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয় দীর্ঘ চার মাস পর। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ প্রতিবেদন উপস্থাপনের কথা রয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে, প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা স্বীকার করলেও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক এ কে এম মাইনুল হক মিয়াজী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান জানান, তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে কমিটি। এটি আগামীকাল অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় উপস্থাপন করা হতে পারে। প্রতিবেদনে কি আছে কিংবা অডিওগুলোর সত্যতা তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কিনা তা জানাতে পারেনি রেজিস্ট্রার।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের প্রভাষক নিয়োগে অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত পাঁচটি ফোনালাপ ফাঁস হয়। যা নিয়ে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে তৈরি হয় চাঞ্চল্য। এরপর গত ৫ মার্চ পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও সিন্ডিকেট সদস্য এ কে এম মাইনুল হক মিয়াজীকে প্রধান করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। ফাঁস হওয়া পাঁচটি ফোনালাপ ছিল উপাচার্য ড. শিরীণ আখতারের তৎকালীন ব্যক্তিগত সহকারী খালেদ মিছবাহুল মুকাররবীন ও হিসাব নিয়ামক দফতরের কর্মচারী আহমদ হোসেনের সঙ্গে দুজন নিয়োগপ্রার্থীর। এর মধ্যে একটি ফোনালাপে প্রভাষক পদের এক প্রার্থীর সঙ্গে উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারীকে অর্থ লেনদেনের বিষয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলতে শোনা যায়। অপর একটি ফোনালাপে সরকারের সংশ্লিষ্ট দফটরগুলার শীর্ষ ব্যক্তিদের ‘ম্যানেজ’ করতেই উপাচার্যের টাকার প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন কর্মচারী আহমদ হোসেন।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply