গাইবান্ধায় ৪ মন্দিরে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় যুবক আটক

|

ভাঙচুর ও হামলার শিকার পারিবারিক মন্দির।

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় একরাতে চারটি পারিবারিক পূজা মন্দিরে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় হাতেনাতে অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে এলাকাবাসী। আরিফুল ইসলাম তালুককানুপুর ইউনিয়নের কাপাশিয়া গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে।

সোমবার (৪ জুলাই) দিবাগত রাতে উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের দামোদরপুরের হিন্দুপাড়া গ্রামে ঘটে ঘটনা। এরমধ্যে দুটি লক্ষী মন্দির, একটি কালী মন্দির ও একটি শিব মন্দির ছিল। ভাঙচুর করা হয় এসব মন্দিরের ভেতরে থাকা বিভিন্ন প্রতিমার মাথা, হাত-পাসহ বিভিন্ন অংশ।

খবর পেয়ে মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুরে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ প্রধান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আরিফ হোসেন ও থানার (ওসি) ইজার উদ্দীন।

এসময় তারা গ্রামের হিন্দু পরিবারের মানুষের সঙ্গে আলোচনা করে নিরাপত্তা জোরদার ও জড়িতদের শাস্তির আশ্বাস দেন। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত চারটি মন্দির মেরামতের জন্য ১০ হাজার টাকা করে সহযোগিতা করা হয় ভুক্তভোগীদের।

ঘটনাস্থল পরির্দশনকারী গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইজার উদ্দিন স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, রাতে আরিফুল ইসলাম মোটরসাইকেল করে এসে মন্দিরে হামলা চালায়। লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মন্দিরে থাকা প্রতিমা ভাঙচুর করতে থাকে আরিফুল। এসময় স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক আরিফুলকে আটক করে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেয়। পরে পুলিশ রাতেই অভিযুক্ত আরিফুলকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

তিনি আরও জানান, হঠাৎ করেই আরিফুল কেনো মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর চালিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া এই ঘটনায় অন্য কারোর সম্পৃক্ততা আছে কিনা তাও তদন্তে শনাক্তসহ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

এদিকে, রাতের বেলায় একসঙ্গে চারটি মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য পরিকল্পিতভাবে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply