ম্যান ইউ ছাড়তে চান রোনালদো!

|

ছবি: সংগৃহীত

গ্রীষ্মের এই দলবদলেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছাড়তে চান ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ম্যান ইউ যদি ভালো কোনো প্রস্তাব পায়, তাহলে যেন তাকে ছেড়ে দেয়া হয়; ক্লাবের কাছে এমন ইচ্ছের কথা সিআরসেভেন প্রকাশ করেছেন বলে দাবি করেছে বিবিসি, স্কাই স্পোর্টস’সহ বেশ কিছু ইংলিশ গণমাধ্যম।

ক্যারিয়ারের শেষ বেলায় এখন ৩৭ বছর বয়সী ফুটবল সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। আগেই জানিয়েছেন, সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেই ক্যারিয়ারের ইতি টানতে চান এই পর্তুগীজ কিংবদন্তি। তাই, আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলার সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না সিআরসেভেন। তাছাড়া ২০২১-২২ ছিল ম্যান ইউয়ের শিরোপাহীন টানা ৫ম মৌসুম। রোনালদো নিজেও হয়তো বুঝে গেছেন, ক্লাবের পক্ষে দলবদলের এই উইন্ডোতে উল্লেখযোগ্য মাত্রার উন্নতি করা সম্ভব নয়। এই গ্রীষ্মেই ১৩ জন খেলোয়াড় ক্লাব ছেড়ে গেছেন, কিন্তু আসেননি কেউই।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা করতে না পারায় প্রিয় ক্লাব ছাড়ার কঠিন সিদ্ধান্তই নিয়েছেন রোনালদো। এর আগে, কেবল স্পোর্টিং লিসবনে খেলার সময় ২০০২-০৩ সালে ইউরোপা লিগে খেলেন রোনালদো। এর সাথে আরও কিছু দিকও আছে ক্লাব ছাড়ার এমন আগ্রহের পেছনে। অধিনায়কত্ব নিয়ে হ্যারি ম্যাগুয়ারের সাথে দ্বন্দ্বে জড়ান রোনালদো।

তাছাড়া, রেড ডেভিলদের সাবেক কোচ রালফ রাংনিক চেয়েছিলেন প্রেসিংয়ে আরও বেশি যুক্ত হোক রোনালদো। কিন্তু এতে অস্বীকৃতি জানান সিআরসেভেন। বর্তমান কোচ এরিক টেন হ্যাগের চিন্তায়ও হয়তো এমন কিছু থেকে থাকতে পারে। কারণ, টেন হ্যাগও সমন্বিত প্রেসিংয়ের ধারণা পছন্দ করেন। অন্যদিকে, রোনালদো এখন প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ বেতনভোগী ফুটবলার। তিনি চলে গেলে ট্রান্সফার মার্কেটে আরও সক্রিয় হতে পারেন রেড ডেভিলরা।

তবে রোনালদো ক্লাব ছাড়তে চাইলেও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তাদের আগের অবস্থায়ই এখনও আছে আর বলছে, রোনালদো বিক্রির জন্য নয়। এছাড়া ক্লাবটি আশা করছে, ২০২৩ সালের গ্রীষ্ম পর্যন্ত থাকা চুক্তির পুরো মেয়াদই শেষ করবেন সিআরসেভেন। অন্যদিকে, গুঞ্জন আছে চেলসি ও বায়ার্ন মিউনিখের সাথে আলোচনা করছে রোনালদোর এজেন্ট হোর্হে মেন্ডেজ। তবে, মৌসুমে ২৪ গোল করা রোনালদোকে ছাড়তে চায় না ম্যানইউ।

রোনালদোর পক্ষে এখনই ম্যানইউ ছাড়া সম্ভব হবে কিনা, তা পরিষ্কার জানা না গেলেও তিনি বেশ সমালোচিত হচ্ছেন এমন সিদ্ধান্তের জন্য। ম্যান সিটিতে না গিয়ে কেবল ম্যান ইউকে ভালোবাসার কারণেই ওল্ডট্রাফোর্ডে এসেছিলেন রোনালদো, এমন ধারণাকেও কিছুটা প্রশ্নের মুখে ফেলেছে তার ক্লাব ছাড়ার আগ্রহ। জেমি ক্যারাঘার, গ্যারি নেভিলদের টুইটে ছিল এমনই প্রচ্ছন্ন সব খোঁচা।

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply