নাটোর পাসপোর্ট অফিসে ঘুষ লেনদেন, ক্যামেরায় ধরা পড়ে বললেন, এগুলো এডিট করা যায়

|

নাটোর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস যেন ঘুষ বাণিজ্যর স্বর্গরাজ্য। সেবা প্রত্যাশীর কাছ থেকে উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ রেকর্ড কিপার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে। গোপনে ধারণ করা ছবিতে তার ঘুষগ্রহণের চিত্র দেখা যায়। তবে এ নিয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এগুলো এডিট করা যায়। ডাটা এন্ট্রি অফিসার সানোয়ার হোসেনের ঘুষ নেয়ার দৃশ্য ধরা পড়লো যমুনা টিভির ক্যামেরায়। অনিয়মের এসব চিত্র রীতিমত ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে।

এদিকে বাইরে দালালের দৌরাত্ম্য, ভেতরে ঘুষসহ নানা অনিয়ম। নাটোর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস পরিণত হয়েছে দুর্নীতির আখড়ায়। সীমাহীন ভোগান্তিতে সেবাপ্রত্যাশীরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বারবার আশ্বাস দিলেও বদলায়নি চিত্র।

সেবাগ্রহীতারা বলছেন, সামান্যতেই ভুল ধরে বারবার সংশোধনের জন্য পাঠিয়ে টাকা চাওয়া হয়ে। বে কয়েক দফায় বেশ কয়েকটি সিন্ডিকেটে টাকা না দিলে কাজ হয় অনেক দেরিতে। একজন জানালেন, তার সাথের কয়েকজন গার্ডকে টাকা দিয়েছিলেন, তাদের কাজ হয়ে গেছে। তবে টাকা না দেয়ায় তিনি পাসপোর্ট পাননি।

অনিয়মের কথা স্বীকারও করেছেন পাসপোর্ট অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক আলী আশরাফ। জানালেন, তিনি নিজেরসহ বাকিদেরও বদলির চেষ্টা করছেন। নতুন লোক এলে নতুন করে এখানকার পরিস্থিতি ঢেলে সাজানো সম্ভব হবে।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকও জানেন পাসপোর্ট অফিসের দুর্নীতির কথা। জানালেন, বেশকয়েকবার নিজে ঝটিকা সফর করে ব্যবস্থাও নিয়েছেন। সম্প্রতি আবার অভিযোগ পাচ্ছেন তিনি। অনিয়ম বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।

২০১৪ সালের আগস্টে নাটোর শহরের চকরামপুর এলাকায় শুরু হয় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম। কার্যক্রম শুরুর পর থেকে নানা অনিয়মের অভিযোগ আছে এখানে।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply