যমুনার ভাঙনে গাইবান্ধায় বিলিন হলো স্কুল ভবন, অনিশ্চয়তায় শিক্ষার্থীরা

|

বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে বিলিনের আগে ও পরের অবস্থা।

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

যমুনার ভাঙনে বিলিন হয়েছে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কাউয়াবাধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন। শুক্রবার (১ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনটি ধসে যমুনার গর্ভে তলিয়ে যায়।

১৫ দিন আগেও যমুনার নদীর ভাঙন এলাকা থেকে ১৫০ মিটার দূরত্বে ভবনটির অবস্থান ছিল। গত ২৬ জুন ভবনটি নিলামের সিদ্ধান্ত নেয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপর কিছু অংশ ভাঙার কাজ চললেও হঠাৎ ভাঙনের তীব্রতায় পুরো ভবনটি চলে যায় নদীগর্ভে।

বিদ্যালয়টির প্রধানশিক্ষক মাসুম মিয়া জানান, যমুনার অব্যাহত ভাঙনের মুখে পড়ে ভবনটি। শুক্রবার সন্ধ্যার আগে ভবনটির পুরো অংশই নদীতে দেবে যায়। ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কাউয়াবাধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। ২০০৯ সালে দ্বিতল ভবনটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছিল। এই ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চলে আসছিল। কিন্তু এখন ভবনটি নদী গর্ভে চলে যাওয়ায় পাঠদান অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

তিনি আরও জানান, গত ২৬ জুন নিলামে ভবনটি বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ভবনটি সরিয়ে নেয়ার চেষ্টাও করেন শ্রমিকরা। তার আগেই তীব্র স্রোতে নদীগর্ভে চলে যায় পুরো ভবনটি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য আমিনুর রহমান বলেন, শুক্রবার বিকেলে বিদ্যালয়ের ভবনটি দেখতে গিয়ে ছবি ও ভিডিও করি। সেখান থেকে ফেরার পরপরই ভবনটি নদীগর্ভে বিলিনের খবর পাই। বিদ্যালয়ের ৩৩ শতাংশ জমির মধ্যে ৩০ শতাংশ জমিই চলে গেছে নদীর বুকে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে পাঠদানের কোনো ভবন নেই। তবে পাশেই তার নিজের আরেকটি জমিতে বিকল্প ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা তিনি।

তিনি বলেন, টিনসেট কিংবা অবকাঠামো নির্মাণ করার জন্য বর্তমানে হাতে কোনো অর্থ নেই। সরকারি সহযোগিতা না পেলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধের আশঙ্কার কথাও জানান তিনি। বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবনটি নদীগর্ভে বিলিন হওয়ায় দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply