যেভাবে তৈরি হলো স্ট্রেঞ্জার থিংস

|

ছবি: সংগৃহীত

ডাফার ব্রাদার্স ও শন লেভি পরিচালিত আমেরিকান সাইফাই হরর ঘরনার সিরিজ ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস’। শুধু আমেরিকায়ই নয়, সিরিজটি জনপ্রিয় হয়ে উঠে বিশ্বব্যাপী। বর্তমানে এ সিরিজের চতুর্থ সিজন এর ভলিউম টু মুক্তির অপেক্ষায়। কিন্তু কীভাবে তৈরি হলো এ সিরিজ? কিভাবেই বা তৈরি করা হয়েছে সিরিজের জনপ্রিয় সব চরিত্রগুলো?

স্ট্রেঞ্জার থিংস সিরিজ নিয়ে ভক্তদের মধ্যে যেমন রয়েছে উত্তেজনা তেমনই ভক্তদের মনে রয়েছে অজানা তথ্য জানার আগ্রহ। সিজন থ্রি দেখার পর সবাই নিশ্চয় এখন জানেন যে এ সিরিজের আসল ভিলেন কে? সিরিজের ভিলেন হলো জেমি ক্যাম্পবেল বাওয়ার অর্থাৎ ভেকনা। তবে জানেন কী যে জেমি ক্যাম্পবেল থেকে ভেকনা হতে সময় লেগেছিলো কত?  

তার মেকাপে প্রতিদিন সময় লাগতো ৭ ঘণ্টা। আর তার এই প্রস্থেটিক মেকআপ করেছিলেন জনপ্রিয় মেকআপ আর্টিস্ট ব্যারি গাওয়ার। তিনি জেমি ক্যাম্পবেলের গায়ে ব্যবহার করেছিলেন রাবার স্যুট। আর এ স্যুট বানাতে ব্যবহার করেছেন মোট দুই হাজার চারশত পঁচিশ টুকরো রাবার ও জেলি।   

সিরিজের জনপ্রিয় চরিত্র মিলি ববি অর্থাৎ এলেভেন। প্রথম সিজনে তার মেকাপ এবং হেয়ার স্টাইল নজর কাড়ে সবার। তবে সিজন যতোই আগাচ্ছে মিলির চুলও ততো লম্বা হচ্ছিলো তাই সিজন থ্রিতে তার চুল ছোট করে ট্রিম করলেও আগের মতো সেই নজরকাড়া লুক তার মধ্যে দেখা যাচ্ছিলো না। তাই এই সিজনে তাকে পড়তে হয়েছে উইগ অর্থাৎ পরচুলা। আর এই উইগ মাথায় বসাতে প্রতিদিন সময় লাগতো প্রায় ১ ঘণ্টা।

সিরিজের আরেক চরিত্র বিলি হারগ্রোভ। তাকেও সিরিজে ভিলেন এর রুপ নিতে দেখেছে দর্শক। আর বিলির পার্ট যখন শ্যুট করা হয় তখন করোনা পরিস্থিতি সামনে আসে। তবুও শুটিং চালিয়ে যান পরিচালক শন লেভি। আর তার অংশের শুটিং অস্ট্রেলিয়াতে সম্পূর্ণ আলাদাভাবে শ্যূট করা হয়। আর এটি শ্যুট করা হয় ভিডিও কলের মাধ্যমে। 

এ সিরিজের জন্য জোনাথন বায়ার্স অর্থাৎ চার্লি হিটন এবং আর্গিল অর্থাৎ এডুয়ার্ডো ফ্রাঙ্কোকে শিখতে হয়েছে গলফ খেলা। সিজন ফোর এর শুটিং হয়েছে নিউ ম্যাক্সিকো ও লিথুয়ানিয়াতে।

স্ট্রেঞ্জার থিংস এর প্রেক্ষপট সাজানো হয়েছে ৮০-র দশকের বিজ্ঞান ও কল্পকাহিনীর উপর ভিত্তি করে। তাই ব্যবহার করা হয়েছে ৮০র দশকের চকলেট, ওয়াকিটকি, মেমোরেক্স ক্যাসেট, হলুদ রঙ্গের ওয়াল ফোন, প্যানাসনিক বুম বক্স, পেনটেক্স এসএলআর ক্যামেরা, সেই সময়কার সাইকেল। আর এই প্রপসগুলো তৈরি করেছেন লিন্ডা রাইস। প্রপসগুলোর পিছনে খরচ হয়েছে দুই লাখ ২০ হাজার ডলার। এছাড়াও সিরিজে দেখা মিলে ভিন্ন প্রজাতির প্রাণীদের। যেগুলো মূলত ছিল জেলি ও প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি।

এদিকে, সিজন ওয়ানে দেখা যায়, হকিন্সে প্রবেশ করে একটি শিকারী মানবিক প্রাণী। এটি তৈরিতে কিন্তু কোনো জেলি বা রাবার ব্যবহার হয়নি। এ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মার্ক স্ট্রেগার। আর এতে ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক ভিজ্যুয়াল এফেক্টস।

এই সিরিজের জন্য মোট অডিশন দিয়েছিলো ১২১৩ জন শিশু। যার মধ্যে ৯০৬ জন ছেলে এবং ৩০৭ জন মেয়ে। যাদের মধ্যে সিরিজের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ডাস্টিনের জন্য গ্যাটেন মাতারাজ্জোর অডিশন দেখে সঙ্গে সঙ্গেই নির্বাচন করে ফেলে প্রযোজনা সংস্থা।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply