টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে পেসাররা যেমন

|

ছবি ইন্টারনেট থেকে নেয়া।

রোহিত শর্মা সুস্থ্য না হলে এজবাস্টন টেস্টে ভারতকে নেতৃত্ব দেয়ার সম্ভাবনা আছে পেসার জাসপ্রিত বুমরাহর । সেক্ষেত্রে ৩৫ বছর পর কোনো পেসারের নেতৃত্বে টেস্ট খেলতে নামবে ভারত। কিন্তু একজন পেসার কতোটুকু ভালো নেতৃত্ব দিতে পারেন দলকে? ইতিহাস বলে, টেস্ট ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে পেসারদের আছে ঈর্ষণীয় সাফল্য।

এজবাস্টন টেস্টে যদি বুমরাহ অধিনায়কত্ব করেন, তাহলে ৩৫ বছর পর তিনিই হবেন ভারতের প্রথম ক্যাপ্টেন যিনি একজন ফ্রন্ট লাইন পেস বোলার। টেস্ট ক্রিকেটের ক্যাপ্টেন বলতে সাধারণত আপনার চোখের সামনে ভেসে উঠে দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য কোনো ঠান্ডা মাথার ব্যাটারের প্রতিচ্ছবি । তবে, ইতিহাস বলে অধিনায়ক হিসেবে পেস বোলারদের সাফল্যটাও ঈর্ষণীয় ।

তালিকার শুরুতেই রাখতে হবে বুমরাহর পূর্বসূরী ও ভারতের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেবের নাম। অধিনায়ক হিসেবে ৩৪ ম্যাচে ১১১ উইকেট মি. দেবের। ক্যারিয়ার সেরা এক ইনিংসে ৯ উইকেট নিয়েছেন অধিনায়ক থাকা অবস্থাতেই।

নন ক্যাপ্টেন অবস্থার চাইতে ক্যাপ্টেন অবস্থায় পারফরম্যান্সের শীর্ষে আছেন বিশ্বকাপজয়ী সাবেক পাকিস্তানী ক্যাপ্টেন ইমরান খান। ৪৮ ম্যাচে ক্যাপ্টেন ইমরানের শিকার ১৮৭ উইকেট, এরমধ্যে ৫ উইকেট নিয়েছেন ১২ বার ।

পাকিস্তানের টু ডব্লিউস এর আকরাম-ওয়াকার অধিনায়ক হিসেবেও সফল। অধিনায়ক হিসেবে ২৫ ম্যাচে ১০৭ উইকেট আকরামের। আর ১৭ ম্যাচ অধিয়ায়কত্ব করে ওয়াকার শিকার করেছেন ৬৭ উইকেট।

ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তী কোর্টনি ওয়ালশ অধিনায়ক হওয়ার পরও বজায় রেখেছিলেন ধারাবাহিকতা। ২২ ম্যাচে শিকার করেছিলেন ৮৫ উইকেট। তবে, আধুনিক যুগের উইন্ডিজকে বদলে দেয়া জেসন হোল্ডার ৩৭ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে শিকার করেছেন ১০০ উইকেট।

দক্ষিণ আফ্রিকা এবং জিম্বাবুয়েতে বরাবরই সফল অধিনায়ক ব্যাটাররা। তবে এক্ষেত্রে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম শন পোলক এবং হিথ স্ট্রিক। নিঃসন্দেহে এই দু’জন নিজ নিজ দেশের সর্বকালের সেরাদের কাতারেই থাকবেন।

বর্তমানে ফ্রন্ট লাইন পেস বোলার হিসেবে টেস্টে ক্যাপ্টেনসি করছেন প্যাট কামিন্স । অন্যদিকে বেন স্টোকসের মত আক্রমণাত্মক অলরাউন্ডারও ইংল্যান্ডকে দুর্দান্ত নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। অধিনায়কত্ব পেলে বুমরাহ কি পারবেন, নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে? তা হয়তো সময়ই বলে দেবে।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply