সাধারণ মানুষের অনুদানে ইউক্রেনে কেনা হচ্ছে সামরিক সরঞ্জাম

|

স্বেচ্ছাসেবীদের যানে শহর পেরিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছে যাচ্ছে সামরিক সহায়তা। ছবি: সংগৃহীত।

সাধারণ মানুষের অনুদানে সামরিক সরঞ্জাম কেনা হচ্ছে ইউক্রেনে। আর তা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইউক্রেনের বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছে দিচ্ছে স্বেচ্ছাসেবীরা। সুরক্ষা পোশাক থেকে গোলাবারুদ, ড্রোন এমনকি ছোটখাটো যুদ্ধযান পর্যন্ত কেনা হচ্ছে দেশটির ‘ক্রাউড ফান্ড’ প্রকল্পের অর্থে।

এসব সামরিক সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে ড্রোন, গোলাবারুদ, পেরিস্কোপ ও বাইনোকুলার। খবর এপি’র।

সাধারণ মানুষের পাশাপাশি তহবিলে অর্থায়ন করছেন খেলোয়াড়, চলচ্চিত্র তারকা থেকে রাজনীতিবিদরাও। দাতা আর স্বেচ্ছাসেবীরা মিলে তৈরি করেছে ‘ক্রাউড ফান্ডিং’ নেটওয়ার্ক। প্রতিনিয়ত বড় হচ্ছে তহবিল। সেই অর্থে কেনা হচ্ছে ট্রাক, থার্মাল সাইট, ব্যাটারি, জেনারেটর থেকে ছোটখাটো নানা জিনিস।
ঘরোয়াভাবে তৈরি হচ্ছে ক্যামোফ্লেজ বা সুরক্ষা পোশাক। সেকেন্ড হ্যান্ড জিপকে পরিণত করা হচ্ছে যুদ্ধযানে। রণক্ষেত্র থেকে অনলাইনে চাহিদার তালিকা পাঠান কমান্ডাররা। সে অনুযায়ী সহায়তা পৌঁছে দেন স্বেচ্ছাসেবীরা।

এক স্বেচ্ছাসেবী বললেন, প্রধান যুদ্ধক্ষেত্রগুলো নিয়েই কাজ করি। ইউনিটের সাথে ডিজিটাল পদ্ধতিতেই যোগাযোগ হয়। তারপর নিশ্চিত হয়ে পাঠানো হয় সামরিক সহায়তা।

ইউক্রেনের বিখ্যাত টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ও রাজনীতিবিদ সেরহি প্রিটুলার দেয়া অনুদানে সম্প্রতি কেনা হয়েছে তুর্কি নির্মিত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ড্রোন। দেশের বাইরে থেকেও প্রচুর অনুদান জমা হচ্ছে এই তহবিলে। অর্থ সংগ্রহ থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় এবং সরবরাহ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপই পরিচালিত হয় স্বেচ্ছাসেবীদের তত্ত্বাবধানে। সরকারের সাথেও সমন্বয়ের চেষ্টা করে তারা।

স্বেচ্ছাসেবীরা জানালেন, সরকারি বিভাগের সাথেও তারা যোগাযোগ রাখেন। একেক ইউনিটের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করেন তারা। ইউনিট কমান্ডারের স্বাক্ষর ও সিলসহ প্রয়োজনীয় তালিকা পাঠানো হয় অনলাইনে।

জীবনের ঝুঁকি নিয়েও গত ২ মাসে ২ হাজার ২শ’ ডেলিভারি দিয়েছে ক্রাউড ফান্ডিং প্রকল্পের স্বেচ্ছাসেবীরা।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply