নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই দেবে গেলো নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়ক

|

খাড়াভাবে দেবে গেছে সড়ক।

নওগাঁ প্রতিনিধি:

উদ্বোধনের আগেই ভেঙে গেলো নওগাঁ-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়ক। ২০২১-২২ অর্থ বছরে সড়কটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ১৩৪ কোটি টাকা। শনিবার (২৫ জুন) বিকেলে আত্রাই উপজেলার সাহাগোলা রেল স্টেশনের উত্তরে প্রায় ১৯০ ফিট পাকা সড়ক দেবে যায়। ফলে ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে কী কারণে পাকা সড়ক দেবে গেছে তা বলতে পারছেন না কর্মকর্তারা।

রাজধানীর সাথে সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা জোরদার করতে নওগাঁর ঢাকা রোড থেকে রেল লাইনের পাশ দিয়ে রাণীনগর-আত্রাই হয়ে নাটোর পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। প্রথমে মাটি ভরাট ও ২০১৮ সালে নতুন করে নওগাঁর অংশে সাড়ে ১৯ কিলোমিটার সড়ক এবং ২৫টি সেতু-কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। এতে ব্যায় হয় ১৩৪ কোটি টাকা।

সড়কের উপরিভাগের কাজও প্রায় শেষের দিকে। এরই মধ্যে শনিবার বিকেলে হঠাৎ করেই আত্রাই উপজেলার রেল স্টেশনের অদূরে উত্তরে প্রায় ১৯০ ফিট পাকা সড়ক নিচ দিকে দেবে যায়। সড়কের বেশিরভাগ অংশ দেবে যাওয়ায় ভারী যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। খবর পেয়ে সড়ক জনপদ বিভাগের নওগাঁর নির্বাহী প্রকৌশলীসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

স্থানীয়রা বলেন, শুরু থেকেই সড়ক নির্মাণে ব্যপক অনিয়ম হয়ে আসছিল। এসব অনিয়মের কথা বলতে গেলেই চাঁদা চাওয়ার অপবাদ দেয়া হয়। তাই কেউ কিছু বলেনি। দুই-তিন দিন আগে ওই স্থানে হালকা ফাটল দেখা দেয়। এরপর হঠাৎ করেই শনিবার পাকা সড়ক খাড়াভাবে প্রায় দেড়-দুই ফিট নিচ দিকে দেবে গেছে। এরপর থেকে সড়ক দিয়ে ভারী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট টিকাদার হারুন-অর-রশিদ বলেন, ওই স্থানটি প্রায় ২০ ফুটের মতো গভীর ছিল। ১০-১২ বছর আগে সড়ক নির্মাণে যখন মাটি ভরাট করা হয়েছে সে সময় সম্ভবত নিচের কাদা না তুলেই সেখানে মাটি ভরাট করেছে। তাই হয়তো সড়ক দেবে গেছে। সাময়িকভাবে যান চলাচলের জন্য ইতোমধ্যে মেরামতের কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে কী কারণে এমন হতে পারে তা পরীক্ষা করতে ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ টিম আসবে বলে জানান তিনি। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী সেখানে পরিপূর্ণ কাজ হবে।

এদিকে, সড়ক জনপদ বিভাগের নওগাঁ জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সড়ক দেবে যাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। কিন্তু কীভাবে পাকা সড়ক খাড়াভাবে নিচ দিকে দেবে গেলো এর কোনো হিসেব মিলছে না। বিশেষজ্ঞ টিম এসে পরীক্ষা করলেই কারণ বোঝা যাবে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply