মেয়ার্সের সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেট হাতে রেখেই ১০০ ছাড়ানো লিড ওয়েস্ট ইন্ডিজের

|

ছবি: সংগৃহীত

গতবছর বাংলাদেশে এসে চট্টগ্রাম টেস্টে দ্বিশতক রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে পরাজয়ের মুখ দেখতে বাধ্য করেছিলেন কাইল মেয়ার্স। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মেয়ার্সের ফর্ম চলমান সিরিজেও চলছে। অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্টে বল হাতে ঝলক দেখালেও সেন্ট লুসিয়া টেস্টে দেখালেন ব্যাটিংয়ের মুন্সিয়ানাও। তার অপরাজিত সেঞ্চুরিতেই দ্বিতীয় দিন শেষে ১০৬ রানের লিড নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হাতে আছে আরও পাঁচ উইকেট।

গতকালের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৬৭ রান করে দিন শুরু করে উইন্ডিজ। বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রণহীন বোলিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতেই শতরানের পার্টনারশিপ গড়েন জন ক্যাম্পবেল ও ক্রেইগ ব্রাথওয়েট। শরীফুলের বলে দলীয় ১০০ রানে ও ব্যক্তিগত ৪৫ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ক্যাম্পবেল। আর ১৩১ রানের মাথায় ৫১ রান করে মেহেদী মিরাজের ঘূর্ণিতে কাঁটা পড়েন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। এই রানেই আরও এক উইকেট হারায় ক্যারিবিয়ানরা। খালেদ আহমেদের বলে বোল্ড হন রেমন রেইফার। আর দলীয় আর ১ রান যোগ হতেই এই খালেদের বলেই বোনারকে শূন্য রানে ফেরেন এনক্রুমাহ বোনার। ফলে ১৩২ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ব্র্যাথওয়েটের দল।

তবে, এরপরই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে ফেরে মেয়ার্স ও ব্লাকউডের দুর্দান্ত জুটিতে। পঞ্চম উইকেটে এই দুজন গড়েন ১১৬ রানের জুটি। দলীয় ২৪৮ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪০ রান করে আউট হন ব্লাকউড। এরপর জশুয়া ডি সিলভাকে নিয়ে আবারও বড় রানের জুটি গড়েন মেয়ার্স। গড়েন হার না মানা ৯২ রানের জুটি। মেয়ার্স অপরাজিত আছেন ১২৬ রানে আর সিলভা অপরাজিত ২৬ রানে। বাংলাদেশের হয়ে দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন খালেদ আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। শরিফুলের শিকার একটি উইকেট।

এর আগে, প্রথম দিনেই ২৩৪ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। সফরকারিদের ইনিংসে ছিল না কোনো অর্ধশতকের জুটি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেছেন লিটন কুমার দাস। আর ওপেনার তামিম ইকবাল করেছেন ৪৬ রান।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply