জীবনের আর কোনো অর্থ রইলো না; ৩ কন্যা, ৪ নাতিনাতনিকে হারিয়ে বৃদ্ধের হাহাকার

|

ভূমিকম্পে পরিবারের ৭ সদস্যকে হারিয়েছেন রাহমাত গুল। ছবি: সংগৃহীত

শক্তিশালী ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল। গায়ান জেলায় রাহমাত গুলের পরিবার এখন ব্যস্ত তাঁবু খাটিয়ে মাথা গোজার অবলম্বন তৈরিতে। বিবিসির কাছে তিনি প্রকাশ করেছেন এই ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে ঘটে যাওয়া তার জীবনের ট্র্যাজেডি। বলেছেন, জীবনের আর কোনো অর্থই রইলো না! চোখের সামনে ৩ কন্যা ও ৪ নাতিনাতনিকে মারা যেতে দেখেছি। আমার হৃদয় ভেঙে গেছে।

রাতে যখন সবাই ঘুমোচ্ছিলেন, তখনই ঘটে এই ভূমিকম্প। রাহমাত গুল হারিয়েছেন তার পরিবারের ৭ সদস্যকে। কিন্তু পরিবারের আরও সদস্যরা আছেন। তাদের নিয়ে বিপর্যয়ের পরদিন কাটাতে হয়েছে খোলা আকাশের নিচে। ভিজতে হয়েছে বৃষ্টিতে। রাহমাত গুল বলেন, আমাদের সাহায্য দরকার। যা কিছু ছিল সবই ধ্বংস হয়ে গেছে। ধুলোয় মিশে গেছে আমাদের সকল সম্পদ।

ছবি: সংগৃহীত

ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সাহায্য আসছে জাতিসংঘ, স্থানীয়, আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা এবং তালেবান সরকার থেকেও। রেড ক্রিসেন্ট বিতরণ করছে জরুরি ত্রাণ সামগ্রী। হাসপাতালের একেকটি বেডে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে তিন-চার জন রোগীকে। চিকিৎসক থেকে চিকিৎসা সরঞ্জাম, সবকিছুরই অভাব। গায়ান জেলার ৫ বেডের একটি হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছেন ৫শর বেশি মানুষ। তালেবানরা হেলিকপ্টারে করে ওই হাসপাতালগুলোতে নিয়ে গেছে তাদের।

আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজউদ্দীন হাক্কানি বলছেন, আমাদের প্রথম পদক্ষেপ ছিল আহতদের উদ্ধার করা এবং যারা জীবিত আছন তাদের খুঁজে বের করা। দুর্গত এলাকায় এখনও উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। বাসিন্দাদের ত্রাণ সরবরাহ করা হয়েছে। বিশ্ব সম্প্রদায়কে অনুরোধ, আফগানদের সহায়তা চালিয়ে যান।

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply