বদলাচ্ছে দেশে গাড়ির বাজার, দরকার ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতা

|

আইসিসিবিতে চলমান আন্তর্জাতিক মোটর শো।

দেশের গাড়ির বাজার এখনও বিদেশি ব্র্যান্ডের ওপর নির্ভরশীল। চাহিদার প্রায় পুরোটাই আমদানি করে মেটাতে হয়। তবে ধীরে ধীরে পাল্টাতে শুরু করেছে চিত্র। শুধু বিদেশি ব্র্যান্ডের বাজারজাত নয়, বরং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গাড়ি এখন বাংলাদেশে সংযোজন ও নির্মাণ করছেন বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা। এ খাতের উদ্যোক্তারা মনে করেন, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতার জন্য ঋণ সুবিধা আরও সহজ করলে দেশে দ্রুত প্রসার হবে গাড়ি নির্মাণ শিল্প।

দেশে ক্রমেই বাড়ছে বাণিজ্যিক ও ব্যাক্তিগত গাড়ি। গত ৫ বছরে ব্যাক্তিগত গাড়ির ব্যবহার বেড়েছে প্রায় ৩ গুণ। বিস্তৃত হচ্ছে গাড়ির বাজার। এ শিল্পের বাজার দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকায়। তাই ক্রেতাদের নিত্য নতুন প্রযুক্তির গাড়ির সাথে পরিচয় করে দিতে রাজধানীর আইসিসিবিতে চলতে আন্তর্জাতিক মোটর শো। এক ছাদের নিচে বিশ্বের জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলো পরখ করতে পেরে খুশি গাড়ি প্রেমীরা। তিন দিনব্যপী আন্তর্জাতিক মোটর শো শেষ হবে শনিবার (২৫ জুন)।

জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ ১৫ দেশের বিভিন্ন ব্র্যান্ড অংশ নিয়েছে এই প্রদর্শনীতে। সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমানে এসব ব্র্যান্ডের গাড়ি বাংলাদেশ কেবল আমদানি করছে। তবে বাংলাদেশে স্থাপিত এসব ব্র্যান্ডের কারখানায় তৈরি গাড়ি শিগগিরই বাজারে দেখা যাবে।

এ নিয়ে হুন্দাই বাংলাদেশের পরিচালক অরিন্দম চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশে গাড়ির মার্কেটটা আগে ছিল রিকনডিশন কারের। এরপর শুরু হয় ইমপোর্ট। হুন্দাই দেশে প্রথম গাড়ি ইমপোর্ট শুরু করে। এখন গত দেড়-দুই বছরে বঙ্গবন্ধু পার্কে আমাদের কারখানা চালু হয়ে গেছে, সেখানে গাড়ির প্রোডাকশনও শুরু হয়ে গেছে।

উদ্যোক্তারা জানান, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মতো, বাংলাদেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কার লোন আরও সহজ করা দরকার। এতে এই শিল্পের বিকাশ আরও প্রসারিত হবে।

ফেয়ার টেকনোলজির সিইও মোতাচ্ছিম দাইয়ান বলেন, বাইরের দেশগুলোতে কিস্তিতে কার লোন দেয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশে এটি খুবই কম দেখা যায়। যদি বাংলাদেশে ব্যাংক কিংবা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো এই সুবিধা দেয় তাহলে গাড়ি বিক্রি আরও বাড়বে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply