ভিন্ন ধর্মের হওয়ায় প্রেমিকাকে বিয়ে করতে চাননি প্রমিজ, যুবকের মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটন

|

নিহত প্রমিজ ও তার অভিযুক্ত প্রেমিকা সুরাইয়া।

খুলনা ব্যুরো:

খুলনার নর্দান ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র প্রমিজ নাগের মৃত্যুতে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ও প্রমিজের প্রেমিকা সুরাইয়া ইসলাম মিমকে। নিহত প্রমিজের বাড়ি পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার সাচিয়া গ্রামে। অভিযুক্ত সুরাইয়া ইসলাম একই বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। সে নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার বাবুপুর গ্রামের আবুল কালাম আজাদের মেয়ে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) রাত ১১টায় খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় প্রমিজের চাচাতো ভাই প্রীতিশ কুমার নাগ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনাডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাহিদ হাসান মৃধা।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, একই বিশ্ববিদ্যলায়ে লেখাপড়ার সুবাদে প্রমিজ ও সুরাইয়ার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সুরাইয়া প্রায়ই প্রমিজের বাসায় আসা যাওয়া করতো। এক পর্যায়ে বিয়ে করার জন্য মেয়েটি প্রমিজকে চাপ দিতে শুরু করে। তবে দু’জন ভিন্ন ধর্মাবলম্বী হওয়ায় প্রমিজ নাগ তাকে বিয়ে করতে রাজি হননি।

এরই মধ্যে গত ২০ জুন সুরাইয়া আবারও প্রমিজের বাসায় আসে। এ দিন কথাবার্তার এক পর্যায়ে প্রমিজ নাগের মাথায় ল্যাপটপ দিয়ে আঘাত করে সে এবং বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়। এরপর ২২ জুন আবারও মেয়েটি প্রমিজের বাসায় এসে দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে পাশে থাকা মেসের ছেলেদের নিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তখন তারা প্রমিজকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে মেয়েটি সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে প্রমিজকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, সুরাইয়া ইসলাম মিমের নির্যাতন ও প্ররোচনা সহ্য করতে না পেরে প্রমিজ আত্মহত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে প্রমিজের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply