মাফিয়া নির্মূলে এল সালভাদরে তিন মাসে আটক ৪২ হাজার

|

ছবি: সংগৃহীত

মধ্য আমেরিকার দেশ এল সালভাদরে মাত্র ৯০ দিনে আটক হয়েছে প্রায় ৪২ হাজার মানুষ। এছাড়া সন্ত্রাস দমনে দেশব্যাপী জারি করা জরুরি অবস্থার মেয়াদ ফের বাড়ানো হয়েছে। যার সমালোচনা করছেন মানবাধিকার কর্মীরা। বলছেন, সন্ত্রাস নির্মূলের নামে নির্বিচারে জেল, জরিমানা, ধরপাকড়, নির্যাতন এমনকি হত্যার মতো অপরাধ করছে প্রশাসনের সদস্যরা। শুধু মে মাসে পুলিশি হেফাজতে অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে দেশজুড়ে বাড়ছে অসন্তোষ।

সন্ত্রাসী আর মাদক কারবারিদের জন্য স্বর্গরাজ্য এল সালভাদর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গেল মার্চে জারি করা হয় জরুরি অবস্থা। মাত্র তিন মাসে ৪১ হাজারের বেশি মানুষকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। কিন্তু সাড়াশি অভিযানেও পরিস্থিতির তেমন একটা উন্নতি হয়নি। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

এ নিয়ে টানা তিন দফা বাড়ানো হলো জরুরি অবস্থার মেয়াদ। পার্লামেন্টে রীতিমত ভোটের আয়োজন করে আরও একমাস বাড়ানো হয়েছে জরুরি অবস্থা। প্রশাসন বলছে, দেশ থেকে মাফিয়া নির্মূলে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এল সালভাদরের আইনপ্রণেতা গুইলারমো গ্যালিগোস বলেন, সবার সম্মতিতে আবারও জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। দেশের সবাই মিলে মাফিয়া দমনের মিশনে নেমেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত দেশ থেকে সন্ত্রাসীদের শেষ সদস্য পর্যন্ত নির্মূল না করতে পারবো ততক্ষণ পর্যন্ত এই যুদ্ধ চলতেই থাকবে।

তবে মানবাধিকার কর্মী এবং দেশটির সরকার বিরোধীরা বলছেন, নির্বিচারে গ্রেফতার করা হচ্ছে বাসিন্দাদের। অনেক নিরপরাধ মানুষও ফেঁসে যাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে। জেল হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হচ্ছে অনেককে।

বিরোধী দলীয় আইনপ্রণেতা মার্লেনি ফুনেস জানান, অবশ্যই আমরা অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করবো। কিন্তু কখনও অপরাধ দমনের নামে মানুষের অধিকার হরণ করা যাবে না। যাকে ইচ্ছে তাকে জেলে ঢোকানো যাবে না। কারাগারে যেভাবে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে তা উদ্বেগের। এভাবে মোটেও সমাধান আসবে না।

জেলগুলোতে কয়েদি রাখতেও হিমশিম অবস্থা দেশটির। ফলে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে বিশাল বিশাল ভবন নির্মাণ। যেখানে একসাথে রাখা যাবে হাজার হাজার আসামি।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply