বন্যার পানি খেয়েই প্রাণ রক্ষা করছেন সুনামগঞ্জের সুফিয়া-ইব্রাহিম দম্পতি

|

নিরুপায় হয়ে সন্তানসহ বানের পানিই পান করছেন ইব্রাহিম ও সুফিয়া, ইতোমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাদের দুই সন্তান।

বিশুদ্ধ পানি না পেয়ে বন্যার পানি খেয়েই প্রাণ রক্ষা করছেন সুনামগঞ্জের সুফিয়া-ইব্রাহিম দম্পতি ও তাদের দুই সন্তান। বানের জলে ভেঙ্গেছে ঘর, আশ্রয় হয়েছে অন্যের বাড়িতে। এখনও খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে অসহায় পরিবারটির।

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার খরচার হাওর এখনও ডুবে আছে বানের জলে। খরচার হাওরের পাশের গ্রাম দূর্গাপুর। ঘরগুলো যেনো একেকটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো। ক্ষতচিহ্ন নিয়ে জেগে ওঠা এরকমই একটি ঘরে থাকেন সুফিয়া-ইব্রাহীম দম্পতি। বন্যার ৯ দিন পার হলেও পেয়েছেন নামমাত্র কিছু ত্রাণ সহায়তা।

সুফিয়া বেগম বলেন, শুধু পানি ছাড়া খাবার বলতে এই মুহূর্তে আমাদের কিছুই নেই, এখনও জীবিত আছি এটা যথেষ্ট।

ঘরের কোনোকিছুই বাঁচাতে পারেননি সুফিয়া। মেঝেতেও পা ফেলার উপায় নেই। আর এরমধ্যেও যতোটা সম্ভব ঘুরে দাঁড়ানোর সংগ্রামে সর্বোচ্চ দিয়ে লড়ছেন ইব্রাহিম। অসহায় ইব্রাহিম মিয়া বললেন, খাবো কী! বাঁচবো কীভাবে! বাচ্চাদেরকে নিয়ে কই যাবো এখনও বুঝতে পারছি না ভাই।

বাবা-মায়ের জীবন যুদ্ধের সাক্ষী সুফিয়া ও ইব্রাহিমের ২ শিশু সন্তান। তাদেরকে নিয়ে বাঁচার তাগিদেই বিশুদ্ধ পানি না পেয়ে শেষে বন্যার পানিই পান করছেন সুফিয়া। নিশ্চিত বিপদ জেনেও ঝুঁকি নিয়েছেন কেবল সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা করেই। সুফিয়া বেগম বললেন, টিউবওয়েলের পানি খাওয়ার মতো অবস্থা নেই, আপাতত হাওরের পানিই খাচ্ছি। পানি খেয়ে বাচ্চারা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। পাতলা পায়খানা-জ্বর তো ছাড়ছেই না।

একটু সহায়তা পেলেই হয়তো আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন সুফিয়ারা। একটু সহায়তার জন্য হাওরাঞ্চলের এমন লাখো পরিবার এখন তাকিয়ে আছেন সরকারের দিকে।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply