সাড়া ফেলেছে ব্লন্ডের টিজার

|

হলিউডের ইতিহাসের সবচেয়ে গ্ল্যামারাস নায়িকা মেরিলিন মনরো, পশ্চিম থেকে যার নাম ছড়িয়েছে পৃথিবীর প্রায় সব দিকেই। কিন্তু মাত্র ৩৪ বছর বয়সেই মৃত্যু হয় তার। অল্প সময়ের এই জীবনে মনরো যা করেছেন, তা-ই রহস্য হয়ে আছে। সেসব ঘটনা নিয়েই লেখা হয়েছে বই। আর সে বই অবলম্বনে এবার নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্র। নেটফ্লিক্সে শিগগিরই আসতে যাচ্ছে মনরোর জীবনী নিয়ে নির্মিত সিনেমা ‘ব্লন্ড’। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ব্লন্ডের টিজার।

কিউবান অভিনেত্রী আনা দে আরমাস অভিনয় করছেন দীর্ঘদিন ধরেই। তবে ব্রিটিশ তারকা ড্যানিয়েল ক্রেগের সঙ্গে পরপর দুটি সিনেমা তার অভিনয়জীবনের গতিপথ বদলে দিয়েছে। ‘নাইভস আউট’, ‘নো টইম টু ডাই’ দিয়ে বড় প্রযোজনা সংস্থাগুলোর নজর কেড়েছেন অভিনেত্রী। এবার ওটিটিতেও ঝড় তুলতে যাচ্ছেন তিনি।

নেটফ্লিক্সের সিনেমা ‘ব্লন্ড’-এর প্রথম ঝলক দেখার পর সমালোচকরাও সেটাই বলছেন। সিনেমাটি তৈরি হয়েছে মেরিলিন মনরোর জীবন অবলম্বনে। আরমাস অভিনয় করেছেন মনরোর চরিত্রেই। টিজারে আরমাসকে দেখার পর ভক্তদের মুখে এখন একটাই কথা—এ যেনো ঠিক মনরো!

টিজার দেখেই বোঝা যাচ্ছে, সিনেমাটিতে স্বর্ণযুগের অন্যতম হলিউড আইকন মনরোর প্রায় পুরো জীবনই উঠে আসবে। থাকবে দুঃস্বপ্নের মতো কাটানো শৈশব থেকে শীর্ষ তারকা হয়ে ওঠার গল্প। টিজার মুক্তির আগে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আরমাস বলেছিলেন, মনরো কেমন ছিলেন শুধু সে অভিজ্ঞতাই পুরো দুনিয়াকে বোঝাতে চাই না, পর্দার পেছনের আসল মনরোকেও চেনাতে চাই। আমরা এক বছর ধরে প্রায় প্রতিদিনই সিনেমাটির কাজ করেছি।

জানা গেছে, ‘ব্লন্ড’ তৈরি হচ্ছে জয়েস ক্যারল ওটসের লেখা একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে। আরমাস জানান, পর্দায় মনরো হয়ে উঠতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। আমি জয়েসের উপন্যাস পড়েছি, প্রিয় নায়িকার শত শত আলোকচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, অডিও রেকর্ড ও সিনেমা দেখেছি। এ সিনেমার প্রতিটি দৃশ্যই তার কোনো না কোনো আলোকচিত্রের প্রেরণায় তৈরি।

‘ব্লন্ড’ নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে ২৩ সেপ্টেম্বর। সেই ২০১০ সাল থেকে সিনেমাটি তৈরির তোড়জোড় চলছে। প্রথম দিকে জেসিকা চ্যাস্টেইন ও নওমি ওয়াটস এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শেষ পর্যন্ত টিকে যান আরমাস।

ব্লন্ডের পরিচালক অ্যান্ড্রু ডোমিনিক এক সাক্ষাৎকারে দর্শকদের সতর্ক করে বলেন, এটি দর্শককে ক্ষুব্ধ করবে। প্রেমিক ও স্বামীর সঙ্গে মনরোর সম্পর্কের দিকটি মূলত ফোকাস করা হবে এ সিনেমায়।

‘ব্লন্ড’ এ মনরোর প্রেমিক হয়েছেন ববি কানাভ্যাল, আর মনরোর স্বামী আর্থার মিলারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন আড্রিয়ান ব্রডি।

এর আগে, ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত ওটসের এ উপন্যাস থেকে ২০০১ সালে একটি টিভি মুভি বানানো হয়। সেখানে মনরো হয়েছিলেন পপি মন্টগোমারি। এটি ছাড়াও বিভিন্ন সিনেমায় মনরোকে চিত্রায়িত করা হয়েছে। তবে মনরোর জীবনভিত্তিক সিনেমা এর আগে তৈরি হয়নি। দেখা যাক, ভক্তদের প্রত্যাশার পারদ কতোটা ছুঁতে পারে ‘ব্লন্ড’।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply