বছরের প্রথম তিন মাসে ইরানে কার্যকর শতাধিক মৃত্যুদণ্ড, জাতিসংঘের উদ্বেগ

|

ছবি: সংগৃহীত

২০২২ সালের প্রথম তিন মাসে ইরানে শতাধিক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস। সম্প্রতি জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস উপস্থাপিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

মঙ্গলবার (২১ জুন) জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের বৈঠকে আলোচনার সময় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক উপপ্রধান নাদা আল-নাশিফ গুতেরেসের ওই প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। প্রতিবেদনে মাদক সংক্রান্ত অপরাধসহ হালকা অপরাধের জন্যও মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিধান থাকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন গুতেরেসের।

নাদা আল-নাশিফ জানান, ২০২০ সালে ইরানে ২৬০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলেও গত বছর সেই সংখ্যা বেড়ে ৩১০ এ দাঁড়ায়, এদের মধ্যে ১৪ জন নারীও ছিলেন। আর চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত কমপক্ষে ১০৫ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। যাদের অনেকেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে।

নাশিফ আরও বলেন, মার্চে মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৫২ জনের ফাঁসি কার্যকরের জন্য শিরাজ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। এ সময় আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে কিশোর অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড অব্যাহত রাখায় দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। দেশটিতে এখনও ৮৫ জনের বেশি কিশোর অপরাধী মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তালিকায় আছেন বলে তথ্য এসেছে প্রতিবেদনটিতে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের এপ্রিল ও মে মাসে শিক্ষক, আইনজীবী, শ্রমিক অধিকারকর্মী, শিল্পী এবং শিক্ষাবিদসহ অন্তত ৫৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বেশিরভাগকেই সরকারবিরোধী বিক্ষোভ থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের অনেকের বিরুদ্ধেই জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অভিযোগ এনেছে দেশটির প্রশাসন।

এদিকে, জাতিসংঘের এ প্রতিবেদনের নিন্দা জানিয়ে জেনেভায় ইরানের স্থায়ী উপ-প্রতিনিধি মেহেদি আলি ইবাদি বলেছেন, ইরানকে কলঙ্কিত করতেই পশ্চিমা দেশগুলোর চাপের মুখে বাধ্য হয়ে বিদ্বেষ ও পক্ষপাতমূলক ম্যান্ডেটে এ প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে জাতিসংঘ।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply