গরমের দিনে যেসব ভুল ডায়রিয়ার কারণ হতে পারে

|

ছবি: সংগৃহীত

গরম আবহাওয়া মানেই বিশেষ কিছু অসুখের প্রকোপ বেড়ে যায়। গরমে ঘেমে যখন-তখন ঠান্ডা পানীয় খেলেই হানা দিতে পারে নানা অসুখ। এদের মধ্যে অন্যতম ডায়রিয়া। আর একবার এই রোগের পাল্লায় পড়লে একদিনেই শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, এমনকি হাসপাতালেও যেতে হতে পারে।

চিকিৎসকদের মতে, শিশুরা এতে তুলনামূলক বেশি আক্রান্ত হয়। তাদের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাও কম থাকে। তবে বড়দের ক্ষেত্রেও সময় মতো চিকিৎসা শুরু না করলে এই অসুখ মারাত্মক আকার নিতে পারে। এই সময়ে তেল-মশলাদার খাবার বেশি খেলেই পেটের গোলমাল শুরু হয়। তার ওপর হজমশক্তিও কমে যায়। গরমের সময়ে তৃষ্ণা মেটাতে অনেক সময়ে বাইরের পানি খাওয়া হয়। তা থেকেও শরীরে এই রোগ ঢুকতে পারে।

ডায়রিয়া মূলত জলবাহিত ব্যাকটেরিয়া থেকে ছড়ায়। শরীরের পানি বেরিয়ে যায় বলে এই অসুখ খুবই দুর্বল করে তোলে। দরকারে স্যালাইনও দিতে হয়। তবে এই অসুখ থেকে দূরে থাকতে কতগুলি নিয়ম মানতেই হবে। চলুন জেনে নেয়া যাক সেই বিষয়গুলো-

১) চিকিৎসকরা জানান, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে এই অসুখ এড়ানো সম্ভব। রান্নাঘর ও খাওয়ার জায়গা পরিষ্কার রাখুন। বাসন মাজার জন্য পরিষ্কার পানি ব্যবহার করুন। মুখ ধোয়ার সময়ে ব্যবহার করুন পরিষ্কার পানি।

২) সারা বছরই পরিষ্কার পানি খেতে হবে। রাস্তাঘাটের যেকোনো জায়গা থেকে পানি খাবেন না। প্রয়োজনে বোতলবন্দি বা ফোটানো পানি খান।

৩) গরমের সময়ে খাবার বেশিক্ষণ ফেলে রাখবেন না। গরম অবস্থাতেই খান। ঠান্ডা হয়ে গেলে আবার গরম করে তবেই খান। কারণ, খাবার ঠান্ডা হলে তাতেও কিছু ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে, যা ডায়রিয়াকে ডেকে আনে।

৪) ডায়রিয়ার প্রকোপ থেকে বাঁচতে এই সময়ে রাস্তার খাবার যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে, ফুচকা জাতীয় খাবার একেবারেই খাবেন না। মোট কথা, যেসব খাবারে টকপানি বা স্যুপের আকারে পানি সরাসরি পেটে যায়, সেসব এড়িয়ে চলুন। অপরিষ্কার হোটেল বা রেস্তরাঁয় না খাওয়াই ভালো।

৫) গরমে ফল খাওয়া ভালো। তাই বলে কাঠফাটা গরমে বের হয়ে রাস্তার কা‌টা ফল খাবেন না। গোটা ফল কিনে ভালো করে ধুয়ে তারপর খান। শরবত, ঘোল, লেবুর পানির মতো পানীয় রাস্তার ধারের অপরিচ্ছন্ন দোকান থেকে না খাওয়াই ভালো।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply