বিশ্বকাপ ফুটবল: সি গ্রুপ থেকে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছে ফ্রান্স

|

শক্তিশালী এক স্কোয়াড নিয়ে ২০ বছর পর আবারো বিশ্বকাপ জেতার ছক কষছে ফ্রান্স। তুলনামুলক সহজ গ্রুপ সি’তে, ৯৮’র চ্যাম্পিয়নদের চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে ৩৬ বছর পর খেলতে আসা পেরুর তরুণ দল। ছেড়ে কথা বলবেনা ডেনমার্কও। তবে এই গ্রুপে সবচেয়ে খর্ব শক্তির দল হিসেবে আছে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।

স্বপিল এই মুহুর্তের কেটে গেছে ২০ বছর। হারানো সেই মসনদ ফিরে পেতে গত দুই দশকের মধ্যে অন্যতম সেরা দল নিয়েই মাঠে নামছে ৯৮’র চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। শিরোপায় চোখ থাকা দিদিয়ের দেশমস শীষ্যদের গ্রুপের প্রাধমিক বাঁধা- পেরু, ডেনমার্ক আর অস্ট্রেলিয়া।

যদিও ৪ বারের সেমিফাইনালিস্ট ফ্রান্সের সামনে বাকীদেরকে আনকোরাই মনে হবে। তার উপর দারুণ ব্যালেন্স এক দল নিয়ে এবারের আসর শুরু করতে যাচ্ছে সবশেষ ২০০৬ এর ফাইনালিস্টরা। শুধু গ্রুপ পর্বই নয়, পুরো আসর জুড়েই আলো ছড়াতে প্রস্তুত পল পগবা, গ্রিজম্যান, এমবাপ্পে, অলিভার জিরুরা। রাশিয়া বিশ্বকাপে অন্যতম সেরা আক্রমণভাগ নিয়ে মাঠে নামছে ফ্রান্স। তাই গ্রুপ সি’র বাধা খোশ-মেজাজেই পাড়ি দিতে পারে ১৫ তমবার বিশ্বকাপ খেলতে আসা ফরাসিরা।

এই গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে নকআউট পর্বে যাওয়ার লড়াই হতে পারে রেঙ্কিংয়ের ১২ ও ১৩ নাম্বার দল পেরু আর ডেনমার্কের মধ্যে। ৩৬ বছর পর বিশ্বমঞ্চে আসা পেরুর শক্তিমত্তার জায়গা দলের বেশীরভাগ ফুটবলারই মেক্সিকান প্রিমিয়ার লিগে খেলে। তবে ভাবনা জুড়ে দলের অধিনায়ক পাওলো গুয়েরেরোর নিষেধাজ্ঞা।

ল্যাটিন আমেরিকায় প্লে অফ খেলে আসা পেরুকে টেক্কা দেবে ইউরোপের শক্তিশালি দলে পরিণত হওয়া ডেনমার্ক। ১৯৯৮ সালে সবশেষ গ্রুপ পর্ব পাড়ি দেয়া ড্যানিশদের এবার কান্ডারি টটেনহ্যামে খেলা ক্রিশ্চিয়ান এরিকসন। হ্যাটট্রিকসহ ১১ গোল করে দলকে নিয়ে বাছাইপর্ব পাড়ি দিয়েছিলেন এই ফরোয়ার্ড। সঙ্গে ৪ বারের বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞ কোচ এইজ হ্যারাইড থাকছেন আস্থা হয়ে।

গ্রুপের অন্য প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার সময়টা অবশ্য ভাল যাচ্ছেনা। সিরিয়ার বিপক্ষে প্লে অফের ইনজুরি সময়ে গোল করে কোনমতে চূড়ান্ত পর্বে আসে সকারুরা। তবে দলের সেরা তরকা টিম ক্যাহিল ও অধিনায়ক মাইল জ্যাডিনেক জলে উঠলে ঘটতে পারে অঘটন।

 


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply