ইনস্টাগ্রামে আসক্ত সন্তান ভুগছে চরম হতাশায়, মেটার বিরুদ্ধে মামলা বাবা-মায়ের

|

ছবি: সংগৃহীত।

মেয়ে সারাদিন পড়ে থাকে ইনস্টাগ্রামে। এ জন্য খাওয়া-দাওয়ায় ব্যাপক অনিয়মের সাথে সাথে মানসিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সে। চরম হতাশায় ডুবে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টাও করেছে সে। তাই এবারে এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মূল কোম্পানি মেটার বিরুদ্ধে মামলা করে বসলো নিউ ইয়র্কের এক দম্পতি। খবর আরব নিউজের।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এই কিশোরীর নাম অ্যালেক্সিস। ইনস্টাগ্রামে ব্যবহারকারীদের বয়সসীমা সর্বনিম্ন ১৩ বছর বলা হলেও সে ১১ বছর বয়স থেকেই বাবা-মায়ের অনুমতি ছাড়া এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার শুরু করে।

অ্যালেক্সিসের বাবা-মায়ের দাবি, ক্রমেই ইনস্টাগ্রামের ওপর তীব্র আসক্তি তৈরি হয়েছে মেয়ের। এর ফলে জড়তা, হতাশা, নিজের ক্ষতি করা, খাওয়া-দাওয়ায় অরুচি এমনকি আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা পর্যন্ত করেছে এই কিশোরী। আদালতের কাছে তাদের অভিযোগ, ইনস্টাগ্রামের আসক্তিমূলক নকশার জন্য মেটার দ্বারা তারা মানসিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তার মেয়ের একাধিক ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট আছে বলেও দাবি তাদের।

অ্যালেক্সিসের মা ক্যাথলিন বলেন, আমার মেয়ে যখন ১১ বছর বয়স তখন থেকেই সে ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার শুরু করে। এরপর ধীর ধীরে কেমন যেন অস্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছিল সে। তার খাওয়া নেই, ঘুম নেই, সারাক্ষণ রেগে থাকে আর অদ্ভুত ব্যবহার করে।

তিনি আরও বলেন, আপনি যখন একজন মানুষকে সারাক্ষণ দেখাবেন তার চেহারা কেমন হওয়া উচিত কিংবা তথাকথিক সৌন্দর্যের মাপকাঠি দিয়ে তাকে ক্রমাগত মাপতে থাকবেন তখন স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।

এদিকে, মেটার সাবেক প্রোডাক্ট ম্যানেজার ফ্রান্সিস হুজেনও সম্প্রতি মেটার বেশকিছু গোপন নথি ফাঁস করেছেন। তার দাবি, অধিক লাভের জন্য মেটা ইচ্ছাকৃতভাবেই আসক্তিমূলকভাবে এর পেজটির ডিজাইন তৈরি করেছে। ফাঁসকৃত নথি থেকে আরও জানা যায়, এই প্ল্যাটফর্মের বিভিন্ন কনটেন্ট তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ঘৃণা এবং মানসিক অস্থিরতা তৈরি করতে পারে সে সম্পর্কে খুব ভালোভাবেই জানে মেটার কর্তৃপক্ষ।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply