নয় মাস পর টাঙ্গাইলের জোড়া খুনের রহস্য উদঘাটন

|


টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

প্রায় ৯ মাস পর টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রসুলপুরে অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক অনিল কুমার দাস ও তার স্ত্রী কল্পনা রানী দাসের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করছে পুলিশ।

সৎ ভাইয়ের জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে এ হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে ৬ জন জড়িত প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানায়।
প্রথমে অনিল কুমার দাসকে তারা বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। পরে স্ত্রী কল্পনা রানী ঘটনাটি দেখে ফেলায় তাকেও হত্যা করা হয়। হত্যাকারীরা তাদের লাশ গলায় ইটের বস্তা বেঁধে বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের খোলা কূপে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের অব্দুস সালামের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৩২), মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে মো. ফরহাদ (৪৮), রসুলপুরের মৃত আমির হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া (৩৩) এবং রসুলপুর শালিনাপাড়ার বাহাজ উদ্দিনের ছেলে মনজুরুল ইসলাম মিনজু (৩৩)।

শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় সাংবাদিকদের এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। পুলিশ সুপার বলেন, এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত রয়েছে কি না তদন্ত করা হচ্ছে। এছাড়া পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই রাতের কোনো এক সময় অনিল কুমার দাস ও তার স্ত্রী কল্পনা রানী দাসকে দুর্বৃত্তরা শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তাদের গলায় ইটের বস্তা বেঁধে বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের খোলা কূপে ফেলে রেখে যায়। পরদিন দুপুরে পুলিশ তাদের লাশ উদ্ধার করে। পরে ২৭ জুলাই নিহতের ছেলে বাদি হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply