মিষ্টির পঁচা রসে ভেজাল পাটালি গুড়!

|

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ

রমজানে সেহেরি ও ইফতারে বাড়ে গুড়ের চাহিদা। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে মিষ্টির পঁচা রস সংগ্রহ করে তা দিয়ে কৃত্রিম গুড় তৈরি করে বিক্রি করছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। এসব ভেজাল গুড় মানব দেহের জন্য ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হতে পারে।

ঝিনাইদহের শৈলকূপায় বিষাক্ত ও কৃত্রিম গুড় তৈরির প্রমাণ মিলেছে। এসব ভেজাল গুড় ও পাটালি গুড় উপজেলাসহ আশপাশের এলাকায় বাজারজাত করা হচ্ছে। ধোঁকা দেওয়া হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। দীর্ঘদিন ধরে এ কাজ করে চলেছেন উপজেলার বগুড়া ইউনিয়নের আলফাপুর গ্রামের সুশীল কুন্ডু। তিনি তার বসতবাড়িতেই অবৈধ কারখানা বসিয়ে স্ত্রীকে সাথে নিয়েই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, আলফাপুর গ্রামের চান মিয়ার প্রতিবেশী সুশীল কুন্ডু দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন মিষ্টির দোকান ও কারখানা থেকে মিষ্টির পরিত্যক্ত রস সংগ্রহ করে তা বাড়িতে এনে বড় বড় ৫/৬টি প্লাস্টিক ড্রামে করে দীর্ঘদিন মুখ আটকে রেখে পঁচান। এছাড়া তার কারখানায় বহুদিনের পুরনো পঁচা গুড়েরও অস্তিত্ব মিলেছে। যে গুড়ের মধ্যে বিভিন্ন রকমের পোকামাকড় ও মাছি মরে পঁচে আছে। এসব পুরাতন পঁচা গুড়ের সাথে মিষ্টির পঁচা রস, চিনি ও বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়ে করে আগুনে জ্বালিয়ে তৈরী করা হচ্ছে ভেজাল গুড়। এসব গুড় দেখে বোঝারই উপায় নেই তা খাঁটি না ভেজাল।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই গুড় খেয়ে পেটের পীড়াসহ নানান ধরনের জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারেন ভোক্তারা।

কারখানার মালিক ও কারিগর সুশীল জানান, এভাবে দীর্ঘদনি ধরে গুড় তৈরি করে আসছেন তিনি। এ বিষয়ে ক্রেতাদের কোনো অভিযোগ নেই। শৈলকূপাসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় তাদের গুড়ের কদর রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। রমজানে গুড়ের চাহিদা আরও বেশি থাকে।

সুশীলের মতে, এ বছরে তৈরি করা গুড় আগামী বছরেও চালানো সম্ভব। কেননা কৃত্রিম উপায়ে তৈরি এসকল গুড় সহজে নষ্ট হয় না।

সুশীলকে এই গুড় খেতে বললে তিনি রেগে যান। এক পর্যায়ে বলেন, হাজার টাকা দিলেও এ গুড় আমার দ্বারা খাওয়া সম্ভব নয়।

স্থানীয়রা জানায়, সুশীল তার প্রতিবেশী এক মাতব্বরের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন যাবৎ এই অপকর্ম করে আসছেন। দ্রুত এই অবৈধ গুড় তৈরীর কারখানা উচ্ছেদ ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।

যমুনা অনলাইন: এসএ/টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply