খাদ্য সংকটের শঙ্কা এড়াতে গম মজুদ করছে মিসর

|

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ভয়াবহ খাদ্য সংকটের শঙ্কায় মিসর। কৃষ্ণসাগর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাড়ছে উদ্বেগ। তাই বিপর্যয় এড়াতে কৃষকের কাছ থেকে গম কিনে তা মজুদ করছে দেশটির সরকার। চলতি বছরে অন্তত ৬০ লাখ টন গম মজুদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কায়রো।

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কৃষ্ণসাগর দিয়ে মিসরে বন্ধ হয়ে গেছে পণ্য সরবরাহ। তাই দেখা দিতে পারে আমদানিনির্ভর খাদ্যের ভয়াবহ সংকট। এ কারণেই আগাম খাদ্য শস্য মজুদ করে রাখছে দেশটি। বিশেষ করে গমের মজুদ বাড়াচ্ছে কায়রো। মিসরের একজন কারখানাকর্মী বলছেন, অন্য বছরগুলোর তুলনায় এবছর বেশি গম কিনে রাখছে সরকার। তাই দিন রাত মিলে কাজ করতে হচ্ছে। আগে বিকেল ৪টায় বের হয়ে যেতে পারতাম। কিন্তু এখন মধ্যরাত পর্যন্ত এখানে থাকতে হয়। আরও বেশ কিছুদিন এই চাপ থাকবে আমাদের।

মূলত, সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ভর্তুকি দিয়ে কিনে রাখা হচ্ছে এসব ফসল। যেন কেউ ব্যক্তিগতভাবে মজুদ করতে না পারে এবং সহসাই খাদ্যের অভাব যেন না দেখা দেয় সে জন্যই এমন উদ্যোগ। কৃষকরা বলছেন, বিদেশ থেকে কোনো খাদ্য না আমদানি হওয়ায় বড় ধরনের বিপদের আশঙ্কা করছেন তারা।

মিসর সরকার জুনের মধ্যে কিনতে চায় অন্তত ৩০ লাখ টন গম। এছাড়া এ বছর মজুদের লক্ষ্যমাত্রা ৬০ লাখ টন। যা গেলো দুই বছরের তুলনায় দুই-তৃতীয়াংশ বেশি। বাজার মূল্য হিসেবে প্রতি টন গমের দাম এখন ৪৫০ মার্কিন ডলার। যা গত ফেব্রুয়ারিতেও ছিল ৩১১ থেকে ৩১৮ ডলার।

মিসরে বছরে ৯০ লাখ টন গমের চাহিদা রয়েছে। যা উৎপাদনের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। গেল বছর ৪৭ লাখ টন গম আমদানি করে দেশটি। যার সবই কেনা হয় রাশিয়া এবং ইউক্রেন থেকে।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply