নদী সম্মেলনে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, রাজনৈতিক বোঝাপড়া চায় বাংলাদেশ-ভারত

|

আসামের নদী সম্মেলনে হারানো নৌপথ উদ্ধার নিয়েও হবে আলোচনা।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের চলমান ও আগামীর বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক বোঝাপড়া করতে চায় বাংলাদেশ-ভারত। ৩০ মে দিল্লিতে অনুষ্ঠেয় যৌথ পরামর্শক কমিটির সভায় এ নিয়ে একমত হতে পারেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ডক্টর এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, দেশের স্বার্থেই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অব্যাহত রাখার ওপর জোর দেবে ঢাকা। আর আসামের নদী সম্মেলনে নৌ পথে যোগাযোগ আরও বাড়ানোর বিষয়টি প্রাধান্য পাবে বলেও জানান তিনি।

আসামের গৌহাটিতে শনিবার (২৮ মে) তৃতীয়বারের মতো হতে যাচ্ছে নদী সম্মেলন। বেসরকারি এই উদ্যোগে যোগ দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ কে আব্দুল মোমেন ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শংকরসহ দুদেশের নীতিনির্ধারকরা। অভিন্ন ৫১টি নদীর সদ্ব্যবহার কীভাবে করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হবে এবারের নদী সম্মেলনে। সেই সাথে প্রাধান্য পাবে, হারানো নৌপথ উদ্ধার ও তা আবার চালু করার কর্মপরিকল্পনা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমাদের মনোযোগ থাকবে কীভাবে কানেক্টিভিটি বাড়ানো যায়, কীভাবে নদী সংযোগ বাড়ানো যায় সেদিকে। নদীকে কীভাবে এই অঞ্চলের উপকারে আনা যায় তা নিয়েও আলোচনা হবে।

নদী সম্মেলনের পাশাপাশি আসামের মুখ্যমন্ত্রী, গভর্নর ও ব্যবসায়ীদের সাথেও আলাদা বৈঠক করার কথা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। সেখান থেকে দিল্লি যাবেন ডক্টর মোমেন। ৩০ জুন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন তিনি। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন বিষয়ে কর্মকর্তা পর্যায়ে সম্পন্ন বৈঠকগুলোর ব্যাপারে চূড়ান্ত নিতেই এই যৌথ পরামর্শক কমিটির সভা হবে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডক্টর এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, আমাদের দ্বিপাক্ষিক যত ধরনের সম্পর্ক তার মাঝে যেগুলো এখন চলছে এবং যেগুলো সামনে হবে সেসব নিয়েই আলোচনা হবে। অন্যান্য বিভাগীয় পর্যায়ে এরইমধ্যে অনেকগুলো মিটিং হয়েছে। বাণিজ্য সচিব এবং আমাদের অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সাথেও মিটিং হয়েছে তাদের। এবার সেসবেরই একটি রাজনৈতিক বোঝাপড়া হবে।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতিবেশী দেশ ভারতের ভূমিকা নিয়ে রয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। আগামী নির্বাচন ইস্যুতে ভারতের সরকার ও ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতাদের সাথে আলোচনা হবে কিনা; সে প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের মঙ্গলের জন্য যা যা করা দরকার সেসবই করা হবে। আর আমরা তো দেশে স্থিতিশীলতা চাই। আমরা চাই দেশের উন্নয়ন, মানুষের মঙ্গল। সে লক্ষ্যে কীভাবে কী করা তা ভেবে দেখা হবে।

গত এপ্রিলে ঢাকা এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিল্লি সফরের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়ে গেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শংকর। ধারণা করা হচ্ছে, সেই সফরের এজেন্ডাও চূড়ান্ত হতে পারে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই দিল্লি সফরে।

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply