সাকিবের কীর্তির পরও শেষ বিকেলের ভুতুড়ে ব্যাটিংয়ে পরাজয়ের শঙ্কায় বাংলাদেশ

|

ছবি: সংগৃহীত

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঢাকার টেস্টের প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটাররা। তামিম ইকবাল, মুমিনুল হকরা ডাক মেরে ফেরাতে হারের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ। ৪ উইকেটে ৩৪ রান করে চতুর্থ দিন শেষ করেছে স্বাগতিকরা। এর আগে, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ও দিনেশ চান্দিমালের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৫০৬ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। চতুর্থ দিন শেষে এখনও প্রথম ইনিংসে ১০৭ রানের লিড আছে লঙ্কানদের।

প্রথম ইনিংসে ১৪১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে বাজে শুরু করে বাংলাদেশ। টানা দ্বিতীয় ইনিংসে ডাক মেরে ফেরেন ওপেনার তামিম ইকবাল। তিন নম্বরে নেমে নাজমুল শান্ত মাত্র দুই রান করে কাটা পড়েন রানআউটে। এরপর দ্বিতীয় বলেই বাজে শট খেলে অধিনায়ক মুমিনুলক হকও তাড়াহুড়ো করে ড্রেসিংরুমে ফিরলে ১৯ রানেই তিন উইকেটের দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ।

দুই দফা জীবন পেয়েও ব্যর্থ হন মাহমুদুল জয়। ১৫ রান করে আসিথার দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে এই তরুণ ফিরলে ২৩ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় রাসেল ডোমিঙ্গোর দল। তবে প্রথম ইনিংসের দুই হিরো মুশফিক ও লিটন দিনের বাকি সময় পার করেন নির্ভুলভাবে।

শেষের মতো দিনের শুরুটাও খুব খারাপ হয় বাংলাদেশের। চতুর্থ দিন শ্রীলঙ্কাকে দ্রুত অলআউট করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমে হতাশ করেছে বোলাররা। সেই সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার ম্যাথুস ও দিনেশ চান্দিমাল। আগের দিনের ৫ উইকেটে ২৮২ রান নিয়ে দিন শুরু করে প্রথম সেশনে কোনো উইকেট হারায়নি শ্রীলঙ্কা।

দ্বিতীয় সেশনে ক্যারিয়ারের ১৩তম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন ম্যাথুস। ২৭৪ বল মোকাবেলা করে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন এই ব্যাটার। তার পার্টনার চান্দিমালও পেয়েছেন শতক। ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরি পেতে ১৮১ বল মোকাবেলা করেন তিনি। প্রথম সেশনের পর দ্বিতীয় সেশনেও উইকেটশূন্য ছিলেন বাংলাদেশি বোলাররা।

তৃতীয় সেশনে এসে কাঙ্খিত ব্রেকথ্রু পায় বাংলাদেশ। ১২৪ রান করা চান্দিমালকে ফেরান পেসার এবাদত হোসেন। ভাঙে ১৯৯ রানের জুটি, ৪৬৫ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় লঙ্কানরা।

এরপর আর বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি অতিথিদের ইনিংস। ডিকওয়ালা ও জয়াবিক্রমাকে সাকিব, রমেশ মেন্ডিজকে এবাদত আর আসিথা ফার্নান্দো রানআউট হলে ৫০৬ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। ৯৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারে ১৯তম পঞ্চম উইকেট শিকারের কীর্তি। এছাড়াও পেসার এবাদত দেন ৪ উইকেট। ম্যাথুস অপরাজিত থাকেন ১৪৫ রান করে।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply