ব্যাপক ও দুঃখজনকভাবে পরাজিত হওয়ার আশঙ্কায় বিএনপি নির্বাচনে আসতে ভয় পায়: পলক

|

সাংবাদিকদের সাথে মতো বিনিময়কালে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

স্টাফ করেসপনডেন্ট, রংপুর:

ব্যাপক ও দুঃখজনকভাবে পরাজিত হওয়ার আশঙ্কায় বিএনপি নির্বাচনে আসতে ভয় পায় দাবি করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক নেতা বা রাজনৈতিক দল এই দেশ এবং মানুষের জন্য কিছুই করেনি।

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দুপুরে রংপুর মহানগরীর খলিশা কুড়িতে ড. ওয়াজেদ মিয়া হাইটেক পার্কের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি। ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি পার্ক উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড.শিরিন শারমিন চৌধুরী।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, বিএনপি বাংলাদেশকে শুধুমাত্র দুর্নীতি, সন্ত্রাস, অপরাজনীতি, অপসংস্কৃতি, খুন, লুটপাট উপহার দিয়েছে। এছাড়া বিএনপি দেশের মানুষকে কিছুই উপহার দিতে পারেনি। আমার মনে হয়, সে কারণেই বিএনপি নির্বাচনে আসতে ভয পায়। যেহেতু তারা জনগনের জন্য কিছুই করেনি, ভবিষ্যতে করবে বলে কোনো আশ্বাস তাদের কাছ থেকে আমরা পাচ্ছি না। তারা নির্বাচনে আসলে যে অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে পরাজিত হবে সেই ভয়েই তারা নির্বাচনে আসবে না।

প্রতিমন্ত্রী পলকের দাবি করেন, আসলে রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ আওযামী লীগ ছাড়া বঙ্গবন্ধু এবং জননেত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া অন্য কোনো রাজনৈতিক নেতা বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দল এই দেশ এবং দেশের মানুষের জন্য কিছুই করেনি। সে কারণে আমি মনে করি বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে আসতে চায় না। কারণ তাদের কাছে কিছুই বলার নেই যে, তারা নির্বাচনে এসে কী প্রতিশ্রুতি দিবে? তারা কী আশ্বাস দিবে? বা তারা অতীতে এমন কাজ কী করেছে, যেটা বলে তারা আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখাবে?

সাংবাদিকেদের প্রশ্নের জবাবে পলক আরও বলেন, রংপুরের জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশর রূপকার বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বিভাগ, সিটি করপোরেশন দিয়েছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশে আর্কিটেক সম্মৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি সজীব ওয়াজেদ জয় রংপুরের সন্তান হিসেবে রংপুরের সামগ্র উন্নয়নের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ওনার প্রতিশ্রুতি ছিল রংপুরের তরুনদের ঠিকানা, প্রযুক্তি নির্ভর আত্মকর্মসংস্থানের ঠিকানা হিসেবে রংপুরের মাটিতেই একটি অত্যাধুনিক হাইটেক পার্ক নির্মাণ করে দিবেন। আজকে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজ শুরু হলো। ১৭০ কোটি টাকায় ১০ একর জমির উপর আমরা এ হাইটেক পার্কটি বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী প্রয়াত ড. ওয়াজেদ মিয়ার নামে কার্যক্রম শুরু করলাম। আগামী দুই বছরের মধ্যেই এই পার্কের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। এখান থেকে প্রতি বছর ৩ হাজারেরও বেশি তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

পলক বলেন, রংপুর বিভাগের আট জেলার তরুণদের যেন ঢাকামুখী হতে না হয়,  যাতে বাংলোদেশের তরুণদের বিদেশমুখী হতে না হয়। সেজন্য শ্রমনির্ভর অর্থনীতিতে থেকে মেধানির্ভর অর্থনীতিতে যেতেই এই হাইটেক পার্কগুলো করা হচ্ছে। এগুলো হবে সম্মৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশের চালিকাশক্তি। রংপুরবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর এ উপহার আশা করি তরুণরা কাজে লাগাবেন। এখানে শুধু রংপুর সিটি করপোরেশন নয়, রংপুর বিভাগের লক্ষ লক্ষ তরুণ-তরুণীর ঠিকানা হবে এ হাইটেক পার্ক, বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।    

জোনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার উপর আস্থাশীল। কারণ তিনি গত ১৩ বছরে বাংলাদেশের মানুষকে আধুনিক জীবন-যাপনের সুযোগ করে দিয়েছেন। শুধু এখানেই থেমে থাকেননি, ২০২১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর ২০৪২ সালে একটি উন্নত আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশের ভিশন আমাদের সামনে দিয়েছেন। করোনাকালীন সময়ে আমাদের সরকার প্রধান নিজে ১ হাজার ৬০০ টি ডিজিটাল মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেছেন। মন্ত্রীসভা, একনেক থেকে শুরু করে সব বৈঠক উনি ডিজিটাল মাধ্যমে চালু রেখেছেন।


পলক বলেন, উপদেষ্টা জয় ভাই প্রতি দুই মাস পর পর আমাদের ১ থেকে ৩ ঘন্টা পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। কিভাবে আমরা ভার্চুয়াল কোর্ট সচল রাখতে পারি। কিভাবে ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সফটওয়ারের মাধ্যমে কাজ করতে পারি। আমাদের টেলিকনফারেন্স থেকে ট্রিপল নাইন, ট্রিপল থ্রি থেকে শুরু করে আমাদের প্রত্যেকটি সেবা অনলাইনে আনতে পেরেছি। করোনায় সারা বিশ্ব যেভাবে স্থবির হয়ে গিয়েছিল সেখানে উন্নয়শীল দেশে হিসেবে বাংলাদেশ অনেক উন্নত দেশকে তাক লাগিয়ে দিয়ে নিজেদের উন্নয়ন সম্মৃদ্ধ করতে পেরেছে।

পলকের দাবি করেন, এ সকল অর্জনের পেছনে একটাই বিষয়- সেটা হলো জননেত্রী শেখ হাসিনার সততা, দুরদর্শিতা এবং সাহসিকতা। আমরা আশা করি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও দেশের তরুণ প্রজন্ম দেশের নারী-পুরুষ, নবীন-প্রবীন সকলেই নৌকা মার্কায় বিপুল পরিমাণ ভোট দিয়ে ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নের সুযোগ করে দিবেন জননেত্রী শেখ হসিনাকে।

পরে তিনি জেলা পরিষদ কমিউনিটি মিলনায়তনে হাইটেক পার্কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এ সময় রংপুর বিভাগীয় কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply