জম্মু-কাশ্মিরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

|

কড়া পুলিশ প্রহরায় আদালতে নেয়া হয় জম্মু-কাশ্মিরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিককে।

সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ভারত-অধিকৃত জম্মু-কাশ্মিরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। খবর এনডিটিভির।

বুধবার (২৫ মে) কাশ্মিরের বিচ্ছিন্নতাবাদী এ নেতার যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করেন দিল্লির বিশেষ একটি আদালত।

এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) ইয়াসিন মালিককে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে। এর আগে তিনি ভারতের কঠোর বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনের (ইউএপিএ) আওতায় তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ স্বীকার করে নেয়ায় এনআইএ এর আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী উমেশ শর্মা বলেছেন, ১০ লাখ রুপি অর্থদণ্ডসহ ইয়াসিন মালিককে দুটি যাবজ্জীবন এবং ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডসহ মোট পাঁচটি শাস্তি দেয়া হয়েছে, সবগুলো সাজা একসাথে চলবে। তবে ইয়াসিন মালিক এনআইএ আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে ভারতের সুপ্রিমকোর্টে আপিল করতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এনডিটিভি জানিয়েছে, আদালতে শুনানির সময় ইয়াসিন মালিক বলেন, ১৯৯৪ সালে অস্ত্র ছেড়ে দেয়ার পর থেকে মহাত্মা গান্ধীর নীতি অনুসরণ করছি। আমি তখন থেকে কাশ্মিরে অহিংস রাজনীতির চর্চা করে আসছি। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ী আমাকে পাসপোর্ট দিয়েছিলেন। আমি অপরাধী হলে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কখনই আমাকে বিশ্বজুড়ে ঘুরে বেড়ানোর এবং কথা বলার সুযোগ দিতেন না। আমি কোনো অপরাধী নই।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে কাশ্মিরে ভারতীয় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে হিজবুল মুজাহিদীন কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পরপরই গ্রেফতার হন ইয়াসিন মালিক।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply