কুমিল্লায় ডাকাতের উৎপাতে দুর্বিষহ, তবু মামলা বিমুখ ভুক্তভোগীরা

|

সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ডাকাতি দৃশ্য।

কুমিল্লা ব্যুরো:

কুমিল্লার তিন উপজেলায় বেড়েছে ডাকাতের উৎপাত। রেহাই পাচ্ছে না ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহনও। হরহামেশা এমন চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও নিরাপত্তহীনতায় বেশিরভাগ ভুক্তভোগীই নিতে চান না আইনি সহায়তা। সচেতন মহল বলছেন, চুরি-ডাকাতি প্রতিরোধে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ততায় বাড়াতে হবে জনসচেতনতা।

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ডাকাতির একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে বাসে থাকা ক্যামেরায় ধরা পড়ে ডাকাতির জন্য পথরোধের চিত্র আর যাত্রীদের কথোপকথন। দেশের লাইফলাইন হিসেবে খ্যাত মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে এমন তিক্ত অভিজ্ঞতায় পড়লেও দুই থানার রশি টানাটানিতে শেষ পর্যন্ত মামলা পর্যন্ত গড়ায় না অনেক ঘটনাই।

ডাকাতির ঘটনা বেড়েছে তিতাস, বুড়িচং ও বরুড়া উপজেলায়। গত কয়েক মাসে ডাকাতির ঘটনাগুলোয় বেশিরভাগ ভুক্তভোগীই নেননি আইনি সহায়তা। ডাকাতি প্রতিরোধে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের যৌথ উদ্যোগ বাড়ানোর তাগিদ সচেতন মহলের।

এ নিয়ে কুমিল্লা জজকোর্টের আইনজীবী আনিসুর রহমান মিঠু বলেন, পুলিশের ওপর মানুষের একটা ভয় কাজ করে। তাছাড়া ডাকাতি হওয়া মালামাল উদ্ধার হতে দেখা যায় না। ফলে মামলা করা মানে উল্টে আরও শত্রুতা বাড়ানো, সাক্ষি দিতে যাওয়া এগুলো সাধারণ মানুষ চায় না। জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে এবং পুলিশের তৎপরতা বাড়ালে চুরি-ডাকাতির মতো ঘটনা কমবে বলে বিশ্বাস কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. লুৎফুর রহমানের।

পুলিশের দাবি, চুরি-ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধ কমাতে বিট পুলিশিংসহ সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে তারা। তবে প্রায় প্রতিদিনই ছোট বড় ডাকাতির ঘটনা জানাজানি হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। অথচ জেলায় গত এক বছরে চুরি-ডাকাতির মামলা হয়েছে মাত্র ১৩০টি।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply