হামলা আতঙ্ক মাথায় নিয়েই বাড়িঘর পুনঃনির্মাণ শুরু করে দিয়েছে ইউক্রেনের খারকিভ শহরবাসী। অঞ্চলটি থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের পর আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন অনেকে। তবে যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বিদেশি আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন বলে মনে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। খবর সিজিটিএন এর।
আশ্রয় কেন্দ্র থেকে প্রায় দেড় মাস পর নিজ বাড়িতে ফিরলেন ভিতলানা নামের খারকিভের এক বাসিন্দা। সবকিছু চুরমার হয়ে গেলেও এখনও ঠিক আছে বিদ্যুৎ সংযোগ, এতেই যারপরনাই খুশি তিনি। রুশ সেনা প্রত্যাহারের পর তার মতো অনেকেই ফিরতে শুরু করেছেন নিজ ভিটায়। যদিও শহরটিতে এখন চলছে গোলাবর্ষণ।
ভিতলানা বলেন, একটু আধটু বাইরে বের হওয়া শুরু করেছি। জানি না ভাগ্যে কী আছে। একটু ভালোভাবে বেঁচে থাকার আশায় ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরেছি। গ্যাসের লাইন নষ্ট হয়ে গেছে। তবে বিদ্যুৎ আছে এতেই খুশি।
আরও একজন খারকিভবাসী বলেন, আমাদের কিছু্ই করার ছিল না। এখানকার আশপাশের শতাধিক ভবন গুড়িয়ে দিয়েছে। আমার বাড়ি এখনও দাঁড়িয়ে আছে এটাই বেশি।
ইউক্রেনের জরুরি উদ্ধারকারী দল পুরোদমে সংস্কারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের দাবি, রুশ সেনাদের ৯০ ভাগ রকেট হামলার লক্ষ্য ছিল আবাসিক এলাকা। খারকিভের জরুরি উদ্ধাকারী দলের প্রধান শেরহি বিলোস বলেন, এখানে কাজ করাটা খুবই বিপজ্জনক। কারণ এখনও কোথাও কোথাও গোলাবর্ষণ করছে রুশ সেনারা। এছাড়া নিচ বা উপর সব জায়গা থেকেই দেখা যায় আমরা কাজ করছি। তাই ঝুঁকিও লাগছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুদ্ধের ক্ষত সারিয়ে উঠতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন। দরকার দাতা দেশগুলোর আর্থিক সহায়তা। ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শহরের সাথে রাশিয়ার সীমান্ত রয়েছে ২৫ কিলোমিটারের।
এসজেড/
Leave a reply